গাড়িস্ট্যান্ড নিয়ে ১০ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের পার্কিং এলাকার দখল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছে আশপাশের ১০ গ্রামের মানুষ। এ সময় তিন ঘণ্টা রেল চলাচল বন্ধ ছিল। অন্তত অর্ধশত লোক আহত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১০০টি গুলি ছুড়ে। আজ বুধবার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, পার্কিং এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক রাখা নিয়ে শায়েস্তাগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সালেক মিয়া এবং পৌর কাউন্সিলর ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাইদুর রহমানের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে বিকেলে দুই পক্ষের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
একপর্যায়ে উভয়ের পক্ষ নিয়ে আশপাশের মহনুল সুনাম, বিরামচর, লেনজাপাড়া, সাবাশপুর, তালুগড়াই, পশ্চিম বড়চর, কুতুবের চর, কদমতলী, দাউদনগর ও সুদিয়াখলা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। রেল লাইনের ওপর সংঘর্ষ চলাকালে শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশন দিয়ে তিন ঘণ্টা কোনো ট্রেন চলাচল করতে পারেনি।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন। তবে তাঁরা নাম প্রকাশ করতে চাননি। অন্যদিকে গ্রেপ্তারের ভয়ে অনেকেই প্রাইভেট ক্লিনিক এবং আশপাশের উপজেলায় গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে এলাকাবাসী জানায়।
শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইয়াসিনুল হক এনটিভিকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০১টি রাবার বুলেট ও নয়টি টিয়ার গাসের শেল নিক্ষেপ করে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সালেক মিয়া এবং পৌর কাউন্সিলর সাইদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।