রাজন হত্যায় গ্রেপ্তার মুহিতের ৫ দিনের রিমান্ড
সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে (১৩) পিটিয়ে হত্যা মামলার আসামি মুহিতের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের মহানগর হাকিমের আদালত-৩-এর বিচারক ফারহানা ইয়াসমিন এ আদেশ দেন।
urgentPhoto
আদালত একই সঙ্গে হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও জালালাবাদ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। আজ সকালে মামলার বিচারকালে জাকিরের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি উপস্থিত না হওয়ায় দুপুর ২টার মধ্যে সশরীরে তাঁকে আদালতে গিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মানববন্ধন
এদিকে, রাজন হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের ১২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় লোকজন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজনের গ্রাম শহরতলির কান্দিরগাঁও ইউনিয়নের বাদে আলীর স্থানীয় মুরব্বি আশরাফ চৌধুরীর বাড়িতে সমাবেশটি হয়। আজ সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে আসামিদের ধরতে প্রশাসনকে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
সমাবেশে আশরাফ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ১২ ঘণ্টার আলটিমেটাম প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। ১২ ঘণ্টা পর আমরা যদি প্রশাসনিক কোনো সুবিধা না পাই, তাইলে পরে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, কী কর্মসূচি করব।’
সমাবেশ শেষে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সর্বশেষ প্রচেষ্টা হচ্ছে, আমরা ভিডিও ফুটেজের (ফুটেজ প্রচারিত হওয়ার) আগেই মামলার প্রধান আসামি মুহিত আলমকে গ্রেপ্তার করেছি। তাঁকে রিমান্ডে আনতেছি। মামলার অপরাপর আসামিদের নাম-ঠিকানা শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের পুরা ঠিকানা সংগ্রহ করছি।’
হত্যা মামলার আসামি সৌদিপ্রবাসী কাওছার সম্বন্ধে ওসি বলেন, ‘সৌদি আরব বা কোথায় যাবে, এ ব্যাপারে আমরা আমাদের ডিপার্টমেন্টাল যে প্রসিডিউর (বিভাগীয় প্রক্রিয়া), সে অনুযায়ী আমরা তাঁর বিদেশগমন রোধ করব।’
গত বুধবার সকালে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় রাজনকে। নির্যাতনকারীরা শিশুটিকে নির্যাতনের চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করে। ২৮ মিনিটের সেই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়।