রাজন হত্যায় পলাতক কামরুল জেদ্দায় আটক
সিলেটের শিশু রাজন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি কামরুল ইসলামকে সৌদি আরবের জেদ্দায় আটক করা হয়েছে। আজ সোমবার স্থানীয় বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় তাঁকে আটক করা হয়।
রাজনকে নির্যাতন করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন কামরুল। বাংলাদেশ কনসুলেটের কর্মকর্তা মোকাম্মেল হোসেন জানিয়েছেন, কামরুলকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আলোচনা চলছে।urgentPhoto
আজ সোমবার জেদ্দায় হাইআররোওবি এলাকার এক বাংলাদেশির কাছে খবর পেয়ে এনটিভির জেদ্দা প্রতিনিধি কামরুলকে শনাক্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে যান। একপর্যায়ে তাঁরা নিশ্চিত হন, গত কয়েকদিনে গণমাধ্যমে কামরুলের যে ছবি প্রচারিত হয়েছে, এ ব্যক্তি তিনিই।
কনসুলেট বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য প্রথম সচিব আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে পাঠান। কামরুল যে বাড়িতে থাকতেন, সেই বাড়ির সৌদি মালিকের সাথে কথা বলেন তাঁরা। পুরো ঘটনা শুনে তিনি সহযোগিতা করতে রাজি হন। পরে বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় কামরুলকে অনুসরণ করে আটক করেন কনসুলেট কর্মকর্তারা। কামরুলের হাত বেঁধে নিয়ে আসা হয় কনসুলেট কার্যালয়ে।
সৌদি আরবে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় কামরুলকে আটক করা হয়। তখন স্থানীয় থানা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে কনসুলেটের হেফাজতে আছে কামরুল। তাঁর পাসপোর্ট ও আকামা (কাজের অনুমতিপত্র) জব্দ করা হয়েছে। তিনি এখানে গাড়ি চালানোর কাজ করতেন।
জেদ্দা কনসুলেটের প্রথম সচিব আজিজুর রহমান এনটিভিকে বলেন, ‘বাংলাদেশিদের ও এনটিভি প্রতিনিধির সহযোগিতায় আমরা কামরুলকে আটক করেছি। যত দ্রুত সম্ভব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় কামরুলকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
গত ৮ জুলাই সকালে সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় শিশু শেখ সামিউল আলম রাজনকে (১৩)। এ সময় নির্যাতনের ভিডিওচিত্রও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে লাশ গুম করার সময় স্থানীয় লোকজন হাতেনাতে আটক করেন সিলেট সদর উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুহিত আলমকে। পরে মুহিতকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনায় মুহিত, তাঁর ভাই কামরুল ইসলাম, আলী হায়দার ও স্থানীয় চৌকিদার ময়না মিয়া লালকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রাজনের বাবা।
সিলেটে ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক খায়রুল ফজল জানান, গত ১০ জুলাই দুপুর ২টায় কামরুল ইসলাম সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করেন। কামরুল হাসান দীর্ঘদিন ধরে সৌদি প্রবাসী। কিছুদিনের জন্য বাংলাদেশ যান তিনি।