রংপুর উপনির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করলেন রিটা রহমান
রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ শনিবার। এখানে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদ। এ নির্বাচনকে প্রহসনমূলক উল্লেখ করে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপি জোট সমর্থিত প্রার্থী রিটা রহমান।
রিটা রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকে তাৎক্ষণিক আপনাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। প্রথম কথা হচ্ছে আজকে রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে যে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে সেটাকে আমরা দলীয়ভাবে রংপুর মহানগর ও জেলার পক্ষ থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।’
ভোটকেন্দ্রে কোনো বাধা আসছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আজ সকালে নির্বাচন শুরুর পর রিটা রহমান বলেছিলেন, ‘একটা খবর পেয়েছি যে আমাদের একটি সেন্টারে ভোট শুরু হয়নি। আর এজেন্টদের বাধা দেওয়ার খবর পাইনি। তবে গতকাল শুক্রবার রাতে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর বিশেষ করে সদরের যে পাঁচটি ইউনিয়ন আছে সেখানে তাদের বাড়িতে বাড়িতে মামলা ছাড়াই রেইড করা হয়েছে। যেখানে যেখানে আমাদের ভোটব্যাংক আছে বা স্ট্রংহোল্ড আছে সেখানে রেইড করা হয়েছে। তারা বাড়িতে থাকেনি, বাইরে ছিল। সকালে আমার সঙ্গে কথা বলে তারা কেন্দ্রে চলে গেছে। তারা বলেছে আমরা আছি। আপনি বুঝতেই পারছেন তাদের মনোবল কেমন। অনেকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেছে। তারা ভোরে আমার বাসা থেকে পোস্টার নিয়ে কেন্দ্রে গেছে। আপনি বুঝতে পারছেন আমাদের নেতাকর্মীদের মনোবল শক্ত। অবশ্যই আমরা শেষ পর্যন্ত থাকব।’
বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাদ এরশাদ লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৫৮ হাজার ৮৭৮ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রিটা রহমান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৬ হাজার ৯৪৭ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা শাহতাব উদ্দিন সন্ধ্যায় উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। নির্বাচনে ২২.৮৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে তিনি জানান।
আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে টানা বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে।
চলতি বছরের ১৪ জুলাই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এরশাদের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (মোটর গাড়ি), এনপিপির শফিউল আলম (আম), খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল (দেওয়াল ঘড়ি) ও গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লা বায়েজীদ (মাছ) নির্বাচনে অংশ নেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন দিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নেয়।