চুরি করতে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা মা ও শিশু মেয়েকে হত্যা!
টাঙ্গাইল শহরে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তাঁর চার বছরের মেয়েকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে পৌরসভার ভাল্লুককান্দি এলাকা থেকে রাইজউদ্দিন (৩৬) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে রাইজউদ্দিনের স্বীকারোক্তিতে চুরি যাওয়া টাকা ও খুনের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়।
সঞ্জিত কুমার রায় আজ সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, প্রথমে রাইজউদ্দিনকে সন্দেহ করে আমরা আটক করি। পরে আমাদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হয় সে। একপর্যায়ে রাইজউদ্দিন স্বীকার করে এই হত্যাকাণ্ড সে ঘটিয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চুরি যাওয়া টাকা ও খুনের সময় ব্যবহৃত অস্ত্র ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গত শনিবার রাত ১২টার দিকে টাঙ্গাইল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভাল্লুককান্দি এলাকায় মোবাইল ফোন-ফ্যাক্সের ব্যবসায়ী আলামিনের বাসায় ঢুকেন রাইজউদ্দিন। এরপর তিনি আলামিনের স্ত্রী লাকি বেগম (২২) ও শিশু মেয়ে আলিফাকে (৪) জবাই করে হত্যার পর ঘরে থাকা প্রায় আট লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যান।
নিহত লাকির বাবার বাড়ি সদর উপজেলার হুগড়া ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে। ওই দিনই লাকির বাবা হাসমত আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, শহরের আসাদ মার্কেটে আলামিনের মোবাইল ফোন-ফ্যাক্সের দোকান রয়েছে। ব্যবসার কারণে প্রায়ই তিনি মধ্যরাতে বাড়িতে ফিরতেন। বাসায় স্ত্রী, শিশু মেয়ে ও তিনি থাকতেন। শিশু মেয়ে আলিফা কচুয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত।