আঁর হুতে কিচ্ছু করে ন, হ্যাতে নির্দোষ : আসামি এমরানের মা
নুসরাত হত্যার ফাঁসির রায়ের পর কান্নায় ভেঙে পড়ে আসামিদের স্বজনরা। এ সময় ফাঁসির আসামি এমরান হোসেন মামুনের মা কান্নারত অবস্থায় চিৎকার করতে করতে বলেন, ‘আঁর হুতে কিচ্ছু করে ন (আমার ছেলে কিছু করেনি), হ্যাতে নির্দোষ, হ্যাতেরে জড়ায় দিছে (সে নির্দোষ, ওকে জড়ানো হয়েছে)। আল্লাহগো আমার কী হইবো।’
নুসরাত হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি এমরান হোসেন মামুন সোনাগাজী পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চরগণেশ গ্রামের প্রবাসী এনামুল হকের ছেলে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার দিন তিনি মাদ্রাসায় গেট পাহারার দায়িত্বে ছিলেন।
তবে চিকিৎসাধীন নুসরাতের জন্য রক্তের প্রয়োজন হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে গিয়ে রক্তও দেন মামুন। হাফেজ আবদুল কাদের ও শামীমের দেওয়া জবানবন্দিতে উঠে আসে তাঁর নাম। পরে তাঁকে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মামুন অধ্যক্ষ সিরাজ মুক্তি পরিষদ আন্দোলন কমিটির সদস্য। ফেনী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
মামলার ১০ নম্বর আসামি মো. শামীমের বাবা শফি উল্যাহ বলেন, ‘মামলার সাক্ষ্য দেওয়ার সময় নুসরাতের ভাই নোমান বলেছে, আসামি শামীম ঘটনার সময় পরীক্ষার হলে ছিল। আমার ছেলেরে জড়ায়ে দিছে, সবাইকে এক রায় দিছে। এটা সাজানো রায়।’
মো. শামীম সোনাগাজী পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম তুলাতলী গ্রামের আলী জমাদারবাড়ির কৃষক শফি উল্যাহর ছেলে। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। নুসরাতের মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি। তিনি অধ্যক্ষ সিরাজের মুক্তি পরিষদ আন্দোলনের কমিটির সদস্য। গত ২৮ ও ৩০ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজের মুক্তি আন্দোলনের মিছিলে নেতৃত্ব দেন তিনি। তাঁকে বাড়ির সামনে থাকা তাঁর বোনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। তাঁর বাবাও আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী।