বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে রাজনৈতিক ইস্যু করতে চাচ্ছে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতাকে পুঁজি করে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করতে চাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে কেন জানি মনে হয় যে, তাঁরা (বিএনপি) খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে যতটা না উদ্বিগ্ন তার চেয়ে বেশি তাঁরা তাঁর শারীরিক অবস্থাকে পুঁজি করে আন্দোলনের ইস্যু খুঁজে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার একটা দূরভিসন্ধি তাদের রয়েছে।’
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য এমন একটি সময়ে এলো যখন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাঁর পরিবার ও দল। গতকাল শুক্রবার খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা করে এসে জানিয়েছেন, সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কোনো চিকিৎসা হচ্ছে না।
এদিন পরিবারের সদস্যরা এক ঘণ্টারও বেশি সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে বেরিয়ে এসে সেলিমা ইসলাম আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শরীরের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। উনি উঠতে পারছেন না, বসতে পারছেন না, নিজ হাতে কিছু খেতে পারছেন না। চলতে পারছেন না। শুয়ে থাকতেও উনার কষ্ট হচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে তাঁকে কোনো ডাক্তার দেখছেন না। উনার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়া দরকার। আমরা উনাকে বিদেশে পাঠাতে চাই।’
আজ দুপুরে নিজ জেলা ফেনী সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদেরের সামনে সাংবাদিকরা বিষয়টির অবতরণা করেন।
এ সময় সেতুমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে বলেন, ‘দুর্বার আন্দোলন করে তাঁরা তাঁকে মুক্ত করে আনবেন। দুই বছর হয়ে গেল তিনি কারাগারে। তাঁরা চোখে পড়ার মতো একটা আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেননি। দৃশ্যমান কোনো উত্তাপ রাজপথে সঞ্চারিত হয়নি। তাঁরা আন্দোলন করে বের করতে পারলে করুক। আমাদের তো কোনো আপত্তি নেই। তাঁরা যদি তাঁতে আন্দোলন করে বের করতে চান করুক।’
বিএনপি আন্দোলনের হাঁক-ডাক করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘বাস্তবে তাদের কার্যকলাপে মনে হয় যে, তাদের এই হাঁকডাক আষাঢ়ের তর্জন-গর্জনের মতোই।’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব বড় বড় কথা বলেন, তাঁরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন তাঁরা অপকর্মের কোনো শাস্তি দেননি। শেখ হাসিনা শুদ্ধি অভিযান করে সৎ সাহস দেখিয়েছেন। তাঁর নিজের দলের লোকদেরও ছাড় দেননি। সারা দেশে টেন্ডারবাজ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো হবে।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী প্রমুখ।