শিশুদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি, ‘চক্রের’ সদস্য আটক
হবিগঞ্জে জোরপূর্বক ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত ছয় শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ‘চক্রের’ এক সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ছয় শিশুকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। এ সময় শিশু উদ্ধারের ঘটনার বর্ণনা দেন পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব কুমার ভদ্র।
উদ্ধার হওয়া শিশুরা সবাই কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার বাসিন্দা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শায়েস্তাগঞ্জের এস আর হোটেলের ব্যবস্থাপক রাসেল মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
এসপি জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, ৯ থেকে ১৩ বছর বয়সী এসব শিশু হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই মাদ্রাসার ছাত্র পরিচয় দিয়ে ভিক্ষা করছিল। গতকাল সোমবার বাহুবল উপজেলার কালুটোলা গ্রামে তিন শিশুকে ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তিন শিশুকে বাহুবল থানায় নিয়ে আসে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
‘অভিনব কায়দায় জেলায় শিশুদের দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করাচ্ছে একটি চক্র। ওই চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিশুদের এনে শায়েস্তাগঞ্জের এস আর হোটেল রাখত। পরে তাদের মাদ্রাসাছাত্র পরিচয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করা হতো। প্রতিদিন সন্ধ্যায় হিসাব করা হতো ভিক্ষার টাকা। কারো উপার্জন কম হলেই চলত নির্যাতন।’
এসপি আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় পুলিশ প্রশাসন। রাতেই অভিযান চালিয়ে শায়েস্তাগঞ্জের এস আর হোটেল থেকে আরো তিন শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় হোটেল ব্যবস্থাপক রাসেল মিয়াকে আটক করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন পিপিএম উপস্থিত ছিলেন।