বিস্ফোরণের ৩০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার
চীনের তিয়ানজিন শহরে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ৩০ ঘণ্টা পর একজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৫ মিনিটে ১৯ বছর বয়সী দমকলকর্মী ঝাউ তিকে উদ্ধার করা হয়।
রাসায়নিক বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫ জনে। এ ছাড়া হাজার হাজার অধিবাসী তাঁদের ঘরবাড়ি ছেলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করছেন।
ঝাউ তিকে তিয়ানজিনের তেদা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।
তিয়ানজিনের অগ্নিনির্বাপণ দলের প্রধান ঝাউ তিয়ান জানান, বিধ্বস্ত এলাকা থেকে এখনো কালো ধোঁয়া উড়ছে। ১২ শতাধিক দমকলকর্মী আগুন নেভানোর কাজ করছেন।
সরকারি টেলিভিশন সিসিটিভি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৫৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতদেহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস্তুহীন অধিবাসীরা সরকারি তাঁবু বা আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন। বৃহস্পতিবার প্রায় ছয় হাজার অধিবাসী আশ্রয়শিবিরে অবস্থান নিয়েছেন।
আজ সকালে প্রায় ২০০ স্বেচ্ছাসেবক ও পরিবারের সদস্য নিখোঁজদের সন্ধানে ওষুধ কোম্পানি গ্ল্যাক্সো স্মিথ ক্লাইনের তিয়ানজিন সদর দপ্তরের সামনে জড়ো হয়েছেন।
তিয়ানজিন বিজনেস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শিয়ে পেনচেন (২০) জানান, আশ্রয়শিবিরে অবস্থান করা লোকজনের যাতায়াতে সমস্যা নেই। তবে স্বেচ্ছাসেবকরা ভেতরে ঢুকতে পারছেন না।
ভ্যানটোন সেন্ট্রাল পার্কের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হ্যান জিনের বাড়ি বিস্ফোরণস্থলের পাশেই। তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে অন্যত্র অবস্থান নিয়েছেন। কেবল গোলাপি কানওয়ালা পোষা কুকুরটিকে নিতে পেরেছেন।
হ্যান বলেন, হতাহতের কাছে দ্রুতগতিতে সহায়তা পৌঁছাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘টিভিতে দেখবেন, সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে যাচ্ছে এই খবর। কিন্তু আমাদের আসলে কী লাগবে, তা নিয়ে সংবাদ নেই।’
তবে ঝ্যাং নামের আরেক নারী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করলেন। তিনি বলেন, ‘এটি জাতীয় সংবাদ, সুতরাং কেন্দ্রীয় সরকারকে কিছু করতেই হবে।’ এর পর তিনি পাশের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ঠিক আছে কি না, দেখতে গেলেন।
সিএনএন জানিয়েছে, ভ্যানটোন সেন্ট্রাল পার্কটি বিস্ফোরণস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে হলেও এখানেও ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন রয়েছে।