ঢাকা শহরে টিউশনি বিড়ম্বনা
ঢাকা শহর প্রতিযোগিতার, প্রতিদ্বন্দ্বিতার, উপযোগের, দুর্ভোগের কিংবা দুর্যোগের। এখানে ছুটছে সবাই। কেউ থেমে নেই। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ যুক্ত হচ্ছে এই শহরে জীবিকার সন্ধানে, বেঁচে থাকার তাগিদে। জেলা শহরের মানুষের কাছে ঢাকা এক স্বপ্ন ও সম্ভাবনার। স্বপ্নের বীজ বপন করে সাফল্যের চারাগাছ রোপণ করার ক্ষেত্রে এ শহরের জুড়ি নেই। বহু শিক্ষার্থীর পদচারণে ঢাকা শহর মুখরিত। যত্রতত্র ডাস্টবিন, ধূলিময় রাস্তাঘাট, যানবাহনের ধোঁয়া, সারিসারি যানবাহনের উপস্থিতি, বৃষ্টিপাতে নাস্তানাবুদ ফুটপাত, অকস্মাৎ জনতার মিছিল, বিষাক্ত টিয়ার গ্যাস, রাস্তার পাশে ক্ষুধার্ত শিশুর আর্তনাদ, রংবেরঙের ভিখারি, হাজার হাজার ভাসমান বৈদ্যুতিক তার সবকিছু মিলিয়ে চলমান ঢাকা শহর। এখানে সবাই চলছে। ঢাকা শহরের বাইরের জেলার মানুষের কাছে প্রথমে ঢাকা শহর মনে হতে পারে মৃত্যুকূপ। কিন্তু এই মৃত্যুকূপ থেকে জন্ম নেয় আকিলিস কিংবা হারকিউলিসরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থেকে ঢাকা শহরের সংগ্রামী জীবন তৈরি হয়। ভর্তি হতে পারা যতটা কঠিন তার থেকে অবস্থা অধিকতর কঠিন হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর। বিষয়টা অনেকটাই ‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন’ এমন অবস্থা। মফস্বলের একজন শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়ার পর জায়গা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে। নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে যুদ্ধ করতে হয় নিজের সাথে। এ যুদ্ধ সংকট নিরসনের, এ যুদ্ধ সবকিছু ছাড়িয়ে যাওয়ার, এ যুদ্ধ আবেগের নয়, বেগের। হলের নোংরা রাজনীতির করালগ্রাসে নিপতিত হওয়ার পরও সম্ভাবনার দ্বার রুদ্ধ হয়ে যায় না। তবু জীবন নিয়ম খুঁজতে চায়, দুমড়েমুচড়ে, ভেঙেচুরে গড়তে চায় সাফল্যের ইমারত। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে তাই সবাই লেজ গুটিয়ে বসে থাকে না। গরিব, নিঃস্ব, সর্বহারা পরিবারের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় নোঙর করে, বীজ বোনে আগামীর। কিন্তু সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে জায়গা করে নেয় অন্নচিন্তা। অন্নচিন্তা অন্য চিন্তার চেয়ে কঠিন ও জটিল। অসহায় শিক্ষার্থী তাই পথ খুঁজতে থাকে, শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর। ভাগ্যের পরিবর্তনের প্রত্যাশায় ধরনা দেয় হলের বড় ভাইদের কাছে, যদি একটা ব্যবস্থা হয়, যদি একটা টিউশনি জোটে, পেট পুরে খাওয়া যাবে। বড় ভাইয়ের করুণার উপযুক্ত পাত্র হতে পারলে দুই একটি টিউশনি জোটে। আমাদের সরকার ব্যবস্থায় যেমন বাপের ছেলে কিংবা মেয়ে, তার ছেলেমেয়ে, তাদের ছেলেমেয়ে পৌত্র পৌত্রাদিক্রমে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালিত করে তেমনিভাবে ঢাকা শহরে টিউশনি বড় মেজো ছোট এই রীতিতে চলে। হঠাৎ করে কোনো শিক্ষার্থীর টিউশনি পেয়ে যাওয়া অনেকটাই কাকতালীয়। অবশ্য এ ক্ষেত্রে মিডিয়া কিছুটা হলেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তবু এখানে জোচ্চুরি বেশ লক্ষণীয়। আমি ২০০৭ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শুরু করি, তখন এক বড় ভাইয়ের চেষ্টায় এক বিশেষ মিডিয়া ব্যক্তিত্বের সঙ্গে পরিচয় হয়। উনি আমার থেকে প্রথমে ১৫০০ টাকা নিয়ে নেন। খুব দ্রুত টিউশনি পাব এমন প্রত্যাশায় বুক বেঁধে ‘মিডিয়া’ নামক ডেসটিনি গ্রুপে টাকা জমা দিলাম। যদি জীবনের ডেসটিনির পরিবর্তন হয়। উনি আমাকে হাতিরপুলে এক ধনীর দুলালীকে পড়াতে যেতে বলেন। ছাত্রী এইচএসসিতে পড়ে। মাস চারেক বাকি ফাইনাল পরীক্ষার। যথারীতি পড়াতে গেলাম। ছাত্রীকে grammar-এর কয়েকটি বিষয় বুঝিয়ে দিলাম। সে বুঝল কিন্তু তার বাবা বোঝেনি। কারণ চিকিৎসা রোগের করা হয়েছিল, রোগীর হয়নি। উনি আমাকে ভূয়সী প্রশংসা করলেন এবং শেষে একটা চিংড়ি মাছের মতো চাটি মেরে বললেন, ‘বাবা, আমি তো একজন সিনিয়র শিক্ষক চাচ্ছিলাম। তুমি পড়াও ভালো কিন্তু আমার সিনিয়র শিক্ষক লাগবে।’ এ কথা বলছেন আর আমার দিকে একবার আর তাঁর সুন্দরী মেয়ের দিকে একবার তাকাচ্ছেন। আমি প্রথম বর্ষে পড়ি শুনে উনি তো গাছ থেকে পড়লেন। আমার আর পড়ানো হলো না। মনে মনে বলতে লাগলাম, ‘নাদের আলী, আমি আর কত বড় হব! আমি চতুর্থ বর্ষে উঠলে তারপর তুমি আমাকে সিনিয়র বলবে!’ আমি ভাবলাম, এ তো কোম্পানিতে চাকরি করার মতো অবস্থা! সব কোম্পানিতে প্রায়ই সব অভিজ্ঞ লোক নিযুক্ত করা হয়। তাহলে নবিসরা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও চুপে চুপে বসে থাকবে? সান্ত্বনা নিয়ে হলে ফিরলাম। শেখার কোনো শেষ নেই। এটা ঢাকা শহরে আমার প্রথম টিউশনি নয়। এরও আগে আমি অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে পড়াতাম। হলে আসার সুবাদে ওকে আর বেশিদিন পড়াতে পারিনি। এই ছাত্রকে পড়ানোর পরে ওর মায়ের সামনে প্রেস ব্রিফিং করতে হতো প্রায় ১০ মিনিট। নিজেকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ভাবা শুরু করলাম। একই সঙ্গে মা ও ছেলেকে পড়ানো! পাগল কি আর গাছে ধরে? ধরে না। কী আর করা, পড়াশোনা যাদের হয় না তাদের অনেক শিক্ষক রেখে ঝালিয়ে নিতে অভিভাবকরা বদ্ধপরিকর। ধনীর দুলাল-দুলালীদের একটু কিছু হলেই যেমন ১০ ডাক্তার বদ্যি ডেকে একাকার করে ফেলা হয়, তেমনি অবস্থা ধনীর দুলাল-দুলালীদের শিক্ষার ক্ষেত্রেও। ঠেলাগাড়ি ঠেলা না দিলে চলে না। কী আর করা! এভাবে অভিভাবককে বোঝাতে বোঝাতে মাঝে মাঝে মেজাজ গরম হয়ে যেত। অভিজ্ঞতার কী আর কিনার আছে?
ঢাকা শহরে টিউটর হিসেবে টিকে থাকার সবচেয়ে বড় মাধ্যম হলো চাপাবাজি। মুখ বাজিয়ে চললে এই রাজ্যে সফলতা অনেকটাই নিশ্চিত। মুখশ্রীর চেয়ে এখানে মুখোশের মূল্য বেশি। বিচিত্র অভিজ্ঞতায় সিক্ত হয়ে আমি পাকাপোক্ত হয়ে গেলাম। একেক ছাত্রের বাসায় একেক রং, একেক ঢং! মাঝে মাঝে শিক্ষার্থীরা সিলেবাসের বাইরে আচরণ করতে থাকে। আসলে তিক্ত অভিজ্ঞতার পাশাপাশি টিউশনির অনেক বিনোদনধর্মী দিকও আছে। আমি আজিমপুরে এক বাসায় পড়িয়েছিলাম প্রায় তিন বছর। অভিনব অভিজ্ঞতায় ফুলে ফেপে গিয়েছিল অভিজ্ঞতার ডালি। প্রথমে আমি যেদিন শিক্ষার্থীকে পড়াতে যাই, সেদিন খুদে শিক্ষার্থী থেকে অনেক কিছু শিখে ফেলি। আমার শিক্ষার্থী এখানে একজন নয়, দুজন। টুইন বেবি। ফ্রয়েডের মনস্তত্ত্ব তখন আমার মাথায় দানা বেঁধেছে। টুইন বেবির ছেলেটি প্রথমে আমাকে যে প্রশ্নটি ছুড়ে দিল তা ছিল এমন : ‘Sir! Do you have any girlfriend?’ আমি বোবা বনে গেলাম। এ ধরনের প্রশ্নের জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। কোনোমতে নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম নেই। সে যেন আকাশ থেকে পড়ল। ঝটপট বলল, ‘আমার কিন্তু আছে। ওর নাম আফসারা।’ এবার তো আমি আরো অবাক। ওর মুখের যে অঙ্গভঙ্গি তাতে আমার মনে হলো আমি একজন মহাপাপী। আমার একজন গার্লফ্রেন্ড থাকা উচিত ছিল। শিক্ষার্থীর বয়স মাত্র সাড়ে পাঁচ বছর। আরেক দিনের ঘটনা এমন : এই শিক্ষার্থীই স্কুলের খাতায় ‘আমার মা’ শীর্ষক বিষয়ের ওপর অনুচ্ছেদ লিখল। আমার দোষ, আমি তার স্কুলের খাতা কেন দেখলাম। সে রচনার একেবারে শেষ লাইনে লিখল : ‘আমার মা আমাকে খুব মারে।’ আমি এটা দেখে ফেলাতে সে খুব রেগে গেল। আমার চুল ধরে টান দিল, ইচ্ছামতো মুখে কিল-ঘুষি মারতে লাগল। আমি যদিও শরীরে ব্যথা অনুভব করছি তথাপি হাসি থামাতে পারছি না। পরে ওর মা এসে পুরো ঘটনা সামাল দিল। আরেকদিন তো আমার প্রায় মাথাটাই কাটা যাচ্ছিল। আমি ওই শিক্ষার্থীকে আরেকদিন কথা প্রসঙ্গে বললাম, ‘আরে থামো বাবা, এমন দুষ্টামি করতে হয় না!’ সে আমাকে তাৎক্ষণিক উত্তর দিল, ‘ওই মিয়া! আপনি কি আমার বাবা নাকি? আমাকে বাবা বাবা বলে ডাকছেন!’ আমি যত তাকে থামাতে যাই, সে তত জোরে জোরে কথা বলে। এবারও তার মা এসে বিষয়টির মীমাংসা করেছিল। অবশ্য এমন দিনও গেছে গ্রীষ্মের গরমের দিনে আমি পড়াতে গেছি। আমার শিক্ষার্থী আমার মুখ ঘামা দেখে আমাকে বলত, ‘অনেক কষ্ট হয়ে গেছে, তাই না স্যার? এক গ্লাস পানি এনে দিই।’ আমি বেশ অবাক হতাম। আমি প্রতি মাসে ওদের দুই ভাই-বোনকে গিফট দিতাম। কিন্তু মেয়েটি নিতে চাইলেও ছেলেটি সহজে নিতে চাইত না, পাছে আমার অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। দারুণ আত্মসম্মানবোধ! উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীটি ছিল ইংরেজি মাধ্যমের।
পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজির ছেলে পড়িয়েছিলাম কয়েক মাস। এখানেও অভিজ্ঞতার কমতি ছিল না। আমাকে আমার শিক্ষার্থী হুমকি দিত এভাবে, ‘ওই মিয়া, আজকে গল্প চলব, শুধু গল্প। পড়মু না, কোনো পড়ন নাই। আপনারে কি আব্বু ফাউ ফাউ বেতন দেয়?’ কিসের মধ্যে কি, পান্না ভাতে ঘি! এমন পরিস্থিতিও মাঝেমাঝে সামলাতে হয় একজন গৃহশিক্ষককে। সে আমাকে ঘুষ দিয়ে বলত, ‘আজ পড়ুম না, দুইশ টাকা ঘুষ। খুশি? আপনার তো ইনকাম বেশি, তাই দুই শতে হবে না, তিনশ লাগব।’ আমি হতবাক হতাম এই ভেবে যে এরা আসলে আমাদের কী ভাবে? এরা মাঝেমাঝে টাকা দিয়ে শিক্ষককে কিনতে চায়অ এর জন্য শিক্ষককে প্রস্তুত থাকতে হয়। আমি ওকে অনেক শাস্তি দিতাম। ফলাফল বড় একটা শূন্য। এ রকম অভিজ্ঞতা অবশ্য সবার ভাগ্যে নাও জুটতে পারে। অনেকে বুকের সিনা ২২ হাত লম্বা করে বলতে পারে আমার শিক্ষার্থীগুলো খুব ভাল। সেটা আসলে তাদের ভাগ্যের ব্যাপার। আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রকাশ করলাম মাত্র।
আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়, ঢাকা শহরের অনেক ধনী অভিভাবককে দেখেছি ঈদ বা অন্যান্য উৎসবে শিক্ষকদের মন সন্তুষ্ট করেন একটু ভিন্নভাবে। ওই মাসটির বেতন না দিয়ে কিছু বোনাস দিয়ে পরের মাসে বেতন নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। অথচ এই অভিভাবকদেরকেই আবার দেখি চোখের সামনে দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দামের দামি আসবাবপত্র ঘরে তুলছেন। তখন মন গেয়ে ওঠে-কত খেলা দেখবিরে মন ভবেরও বাজারে। আমার জুনিয়র এক ছেলে সেদিন আমাকে জানাল, গত ঈদে তার ছাত্রী ২৪ হাজার টাকা দামের থ্রি পিস কিনেছে কিন্তু তার মাসের বেতন দেয়নি। খুব আফসোস করছিল ছেলেটি। আমি ছেলেটিকে সান্ত্বনা দিয়েছিলাম এই কথা বলে যে ওরা আসলে অনেক গরিব। ওদের জন্য আমার মায়া হয়। ও হেসে দিল। আসলে বাস্তবতা অনেক কঠিন। ‘কঠিনেরে ভালো বাসিলাম’ কিংবা ‘আমি ধন্য হলুম’ এই রীতিতে চলে মনকে সান্ত্বনা দেওয়া ছাড়া মাঝেমাঝে কোনো পথ খুঁজে পাওয়া যায় না। এর মধ্যেও জাগিয়ে রাখতে হয় স্বপ্নকে। মাঝেমাঝে কুকুরের মতো বসে থাকতে হয় অভিভাবকদের ভেতরের কুকুরটাকে দেখতে হবে বলে। তবে জীবনের বাঁকা পথে কিছু সোজা মানুষকেও পাওয়া যাবে যারা একজন শিক্ষার্থীকে এতটুকু স্বপ্ন দেখাতে পারে যে হ্যাঁ, চাঁদের কলঙ্ক আছে বটে কিন্তু চাঁদ আলো দিতে জানে। কোনো কোনো অভিভাবক হয়ে উঠতে পারেন পরিবারের বাইরে জীবনের অন্যতম সেরা মানুষ। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বাসায় অনেকদিন পড়িয়েছি। ২০১২ সালের ৪ মে আমি যখন তাঁর বাসা থেকে বিদায় নিচ্ছি, তখন আপু (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক) কাঁদছেন, বারবার চোখের জল মুচছেন। আমার জীবনের সাফল্য কামনা করলেন, অনেক দোয়া করলেন আমার জন্য। বেতন দিয়ে তার সঙ্গে অতিরিক্ত আরো দুই হাজার টাকা দিলেন আর বললেন, ‘মেহেদী, তোমার জন্য কিছুই করতে পারলাম না, কিছু কিনে নিও।’ আমার কাছে সেদিনকার টাকাটা মূল্যবান ছিল না, মূল্যবান ছিল তাঁর বোধ, শুভ কামনা আর সহানুভূতির। লেখার কলেবর আর বাড়াব না। আর একদিন কথা হবে এ বিষয় নিয়ে যেদিন পায়ের নিচের মাটি আরেকটু শক্ত হবে। ঢাকা শহরে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের টিউশনি-ভাগ্য শুভ হোক, শুভ হোক আগামী দিনের পথচলা।
লেখক : শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।