খুনের প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে আবদুল মতিন নামের সত্তরোর্ধ্ব এক বৃদ্ধকে হত্যার প্রতিবাদে এবং নিরাপত্তার দাবিতে সেখানকার বাঙালিরা আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রায় তিন ঘণ্টা খাগড়াছড়ি-মানিকছড়ি-চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ করে রাখে।
পরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারের আশ্বাস দিলে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত চলা ওই অবরোধ তুলে নেয় বাঙালিরা।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজন পাহাড়িকে আটক করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন রিপ্রু চাই মারমা (৪৮) ও উষা মং মারমা (৩৮)।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে লুকিয়ে থাকা রিপ্রু ও উষা মংকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। লাশটি উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও নিশ্চিত করেন শফিকুল ইসলাম।
শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, সড়ক অবরোধকারীরা হত্যার জন্য ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) সদস্যদের দায়ী করছে। এ ছাড়া মানিকছড়ি উপজেলার মলঙ্গীপাড়ায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদারে সেনা বা পুলিশক্যাম্প স্থাপনের দাবিতে মিছিল করে বাঙালিরা। পরে পুলিশ-প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। সে সময় মানিকছড়ির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যুথিকা সরকার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনায়েত হোসেন মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল ইসলাম আরো জানান, মলঙ্গীপাড়ায় স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে নিয়ে বাস করতেন কৃষক আবদুল মতিন। গতকাল বুধবার রাবেয়া গুচ্ছগ্রামে তাঁদের ছেলে ভানু মিয়ার বাড়িতে বেড়াতে যান। মতিন বাড়িতে একাই ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ সুযোগে খুনিরা কোনো একসময় তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে স্থানীয়রা ঘরের দরজা খোলা দেখে এগিয়ে গিয়ে তাঁর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় এবং পুলিশে খবর দেয়, বলেন শফিকুল ইসলাম।