ত্রাণকাজে বাধা, টাঙ্গাইলে ভাইস চেয়ারম্যান বরখাস্ত
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি সরকারি ত্রাণকার্য পরিচালনায় বাধা ও অবৈধ হস্তক্ষেপ এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হুদাকে (নবীন) সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর এ নিয়ে মোট ৭২ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। এদের মধ্যে ২৩ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৪৫ জন ইউপি সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, দুজন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ভাইস-চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা (নবীন) সরকারি জরুরি ত্রাণ তার ইচ্ছেমতো তালিকা বহির্ভূতভাবে তাকে প্রদান না করায় টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) মারধর, লাঞ্ছিতকরণ, প্রাণনাশের হুমকি, হেনস্থা ও সরকারি কর্তব্যপালনে অযাচিত হস্তক্ষেপ করেছেন। এর আগে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ব্রিজের টেন্ডারকাজে বাধা প্রদান ও সিডিউল বিক্রি না করার জন্য হুমকি প্রদানসহ ভূমিহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণে অবৈধ হস্তক্ষেপ ও পিআইওর নিকট চাঁদা দাবি করেন। এ ছাড়া তিনি করোনাভাইরাসজনিত বৈশ্বিক মহামারিতে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা হিসেবে কর্মহীনদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে তালিকা প্রণয়নে অযাচিত হস্তক্ষেপ করেন।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়, তার এহেন কর্মকাণ্ড উপজেলা পরিষদে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করতে পারে, যা সার্বিকভাবে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম বাস্তবায়নে অচলাবস্থার সৃষ্টি ও জনস্বার্থ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হওয়ার আশংকাসহ অন্যান্য উপজেলায় বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বিবেচনায় তার বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ {উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১১ দ্বারা সংশোধিত}-এর ১৩ ধারা অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
তার স্বীয় পদে বহাল থেকে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করা রাষ্ট্র বা পরিষদের স্বার্থের হানিকর হতে পারে। তাই জনস্বার্থে তাকে স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।