চারজনকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা : পুলিশ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় একই পরিবারের চারজনকে কুড়াল গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
মধুপুর পৌর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এলাকার যে ঘর থেকে আজ শুক্রবার স্বামী, স্ত্রী ও দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে, সেখান থেকেই পুলিশ একটি রক্তাক্ত কুড়াল উদ্ধার করেছে।
যাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- আবদুল গণি (৪৫), তাঁর স্ত্রী তাজিরুন (৩৮), তাদের ছেলে তাজেল (১৫) ও মেয়ে সাদিয়া (৮)।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত কুমার রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘরের চারটি কক্ষের তিনটিতে লাশ পাওয়া গেছে। আর একটি কক্ষে কুড়ালটি পাওয়া গেছে। নিহতদের শরীরে কুড়ালের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে, তাদের কুড়ালের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে।’
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ‘সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে বলা যাবে ঘটনার প্রকৃত রহস্য।’
স্থানীয়দের ধারণা, গত দুই থেকে তিন আগে এ ঘটনা ঘটেছে। দুদিন ধরে বাড়িটি তালাবদ্ধ ছিল। আজ সকালে আব্দুল গণির শাশুড়ি এসে তালা লাগানো দেখে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙে ভিতরে গিয়ে চারটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রউফ জানান, হত্যার শিকার আব্দুল গণির আদি বাড়ি মধুপুর উপজেলার কাইতকাই গ্রামে। প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর আগে তিনি শ্বশুরবাড়ির কাছে মাস্টারপাড়ায় বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। একসময় তিনি রিকশা-ভ্যান কেনাবেচার ব্যবসা করলেও বর্তমানে তিনি কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। যদিও স্থানীয়রা জানায় তিনি সুদের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।