সমস্যা থাকবে, সমাধানও হবে : বীর বাহাদুর
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর ঊশৈ শিং বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে যদি পার্বত্যাঞ্চলের দুই যুগের সমস্যার সমাধান হতে পারে। তবে যেকোনো সমস্যাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে। আর এ জন্য সবাইকে খোলা মন নিয়েই এগিয়ে আসতে হবে। সমস্যা তৈরি হবে, সংকটও দেখা দেবে, কিন্তু সব সমস্যা এবং সংকট আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা যাবে, করা হবে।
আজ শুক্রবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীনে অনুষ্ঠিত সপ্তম শ্রেণির বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সনদ ও নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ইনস্টিটিউটে এ অনুষ্ঠান হয়।
পার্বত্যাঞ্চল দেশের জন্য বোঝা নয়, সম্পদ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ঝড়েপড়া ঠেকাতে স্নাতক শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করেছে, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দিচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে আরো বেশি এগিয়ে যাওয়ার জন্য দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম, রাঙামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলজার আহম্মদ খান। এ ছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা বক্তব্য দেন।
বীর বাহাদুর ঊশে শিং বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সরকার পার্বত্যাঞ্চলের শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে এখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেছে। সুতরাং এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার মতো যাতে শিক্ষার্থীরা যোগ্যতা অর্জন করতে পারে। তিনি বলেন, মেধাহীন জাতি কখনো এগুতে পারে না। শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। আর মানুষ গড়ার কারিগরদের আরো বেশি ভূমিকা রাখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আগামীতে যারা এই বৃত্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় হবে, তাদের ১৫ হাজার টাকা আর শ্রেষ্ঠ স্কুলকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আলোচনা সভা শেষে তিনি বৃত্তিপ্রাপ্তদের হাতে সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেন।
এবার অনন্য পাঁচ হাজার, টেলেন্টপুলে তিন হাজার এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তরা দুই হাজার টাকা করে পেয়েছেন।