‘পরজীবীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে’ মিলল নোবেল
‘পরজীবীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে’ গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি মিলেছে এবারের নোবেল পুরস্কারে। গোলকৃমি (রাউন্ডওয়ার্ম) ও ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় কার্যকর পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য নোবেল পেলেন চীন, জাপান ও আয়ারল্যান্ডের তিন বিজ্ঞানী।
আজ সোমবার সকালে সুইডেনের স্টকহোমে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল কমিটির সেক্রেটারি আরবান লেনধাল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। তিনি জানান, চলতি বছরে চিকিৎসাশাস্ত্রে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছেন আয়ারল্যান্ডের উইলিয়াম সি ক্যাম্পবেল, জাপানের সাতোশি উমুরো এবং চীনের ইউইউ তো।
আরবান লেনধাল জানান, উইলিয়াম সি ক্যাম্পবেল ও জাপানের সাতোশি উমুরো গোলকৃমির সংক্রমণের চিকিৎসায় কার্যকর পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। আর ইউইউ তো ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় কার্যকর পদ্ধতি আবিষ্কার করে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। নোবেল কমিটি ঘোষণা অনুযায়ী নোবেল পুরস্কারের অর্ধেক পাবেন ক্যাম্পবেল ও সাতোশি আর বাকি অর্ধেক পাবেন ইউইউ একাই। আর এই প্রথম কোন চীনা বিজ্ঞানী হিসেবে চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল জিতলেন ইউইউ তো।
নোবেল কমিটি বলেছে, এই তিন বিজ্ঞানীর উদ্ভাবন পৃথিবীর লাখ লাখ মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে। বাঁচিয়েছে লাখো প্রাণ। এ ছাড়া পরজীবীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁদের অবদান অসীম বলেও উল্লেখ করে নোবেল কমিটি।
এর আগে কোষীয় তথ্য পরিবহনের ম্যাপ উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য যুক্তরাজ্যের গবেষক জন ও ক্লিফ এবং নরওয়ের বিজ্ঞানী দম্পতি মে ব্রিট মোসার ও এডওয়ার্ড মোসার গত বছর চিকিৎসায় নোবেল পেয়েছিলেন।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, চিকিৎসাশাস্ত্রের মধ্য দিয়ে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা শুরু হলো। এরপর আগামীকাল মঙ্গলবার পদার্থ, বুধবার রসায়ন, বৃহস্পতিবার সাহিত্য, শুক্রবার শান্তি এবং ১২ অক্টোবর সোমবার অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেল ১৮৯৫ সালে তাঁর উপার্জিত অর্থ মানবকল্যাণে বিভিন্ন অবদানে পুরস্কার প্রদানের জন্য একটি উইল করে যান। এরপর গবেষণা, উদ্ভাবন ও মানবতার কল্যাণে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মোট ছয়টি শাখায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। শাখাগুলো হলো পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য ও শান্তি।
এরপর ১৯০১ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কার দিয়ে আসছে নোবেল কমিটি। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে বিভিন্ন বিষয়ে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা ও দেওয়া হয়। আর নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে ঘোষণা করা হয় শান্তিতে নোবেল পুরস্কার।
নোবেল পুরস্কারের অর্থমূল্য ৮০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।