টুইটারে ফিরছেন জ্যাক ডরসি
মাইক্রোব্লগিং সাইট হিসেবে জনপ্রিয় টুইটার। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সাইটটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০টি ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি। তবে অন্তত বছর দুয়েক ধরে ফেসবুক বা হোয়াটসঅ্যাপের চাপে সাইটটির জনপ্রিয়তা কমতির মুখে আছে। এ অবস্থা কাটাতেই কি না টুইটার কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছে সাইটটির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন জ্যাক ডরসিকে। স্কাই ডটকমের এক প্রতিবেদনে এ খবর উঠে এসেছে।
নতুন ব্যবস্থায় ডরসি টুইটারের প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা যায় ওই প্রতিবেদন থেকে। অবশ্য এরই মধ্যে ‘স্কোয়ার’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট রিকোড জানিয়েছে, ডরসি একই সঙ্গে দুটি দায়িত্ব পালনেই আগ্রহী।
জ্যাক ডরসিকে ২০০৮ সালে টুইটার কর্তৃপক্ষ বরখাস্ত করেছিল। ‘হ্যাচিং টুইটার’ নামে বইয়ের লেখক নিক বিলটনের মতে, ডরসি ম্যানেজার হিসেবে বিশেষ সুবিধার ছিলেন না; সমালোচনাকে তিনি সহজভাবে নিতে পারতেন না। এমনকি অন্যের কাজের কৃতিত্ব নিজের নামে নিয়ে নেওয়ার বদনাম পর্যন্ত রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
তবে এত কিছুর পরও তাঁর এই ফিরে আসা প্রযুক্তি দুনিয়ায় বেশ আলোড়ন তুলেছে। অনেকেই তাঁকে অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্টিভ জবসের সঙ্গে তুলনা করা শুরু করে দিয়েছেন। ১৯৮৫ সালে অ্যাপল থেকে বরখাস্ত হওয়ার প্রায় এক যুগ পর পুনরায় ফিরে এসে জবস অ্যাপলকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। ডরসির মধ্যে অনেকে তাই টুইটারের পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনা খুঁজে ফিরছেন।
গত জুনে ডিক কস্টেল্লো পদত্যাগ করার পর থেকেই টুইটার কর্তৃপক্ষ মরিয়া হয়ে একজন নতুন প্রধান খুঁজেছে। যদিও ডরসির ভাষ্যমতে, তিনি অস্থায়ীভাবে প্রধান নির্বাহী হতে যাচ্ছেন। তবে টুইটার কর্তৃপক্ষ তাঁকে স্থায়ীভাবেই দেখতে চায় বলে জানা গেছে।
গত আগস্টে টুইটারের স্টকসংখ্যা রেকর্ড পতনের সম্মুখীন হয়। এ ছাড়া কোম্পানিটির বেশ কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করায় বেশ ভালো দুর্বিপাকে পড়েছে সাইটটি। যদিও ২০১৪ সাল নাগাদ প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ টুইটার ব্যবহার করে বলে জানা যায়।