ত্রিপুরা কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা, গাছে বেঁধে নির্যাতন
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলায় ত্রিপুরা জাতিগোষ্ঠীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক যুবককে আটক করেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার বটতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই স্কুলছাত্রীকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটক জাহাঙ্গীর আলম (২২) ওই এলাকারই বাসিন্দা। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে মাটিরাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদত হোসাইন টিটু এনটিভি অনলাইনকে জানান, ওই স্কুলছাত্রী অষ্টম শ্রেণির পরীক্ষার (জেএসসি) মডেল টেস্ট শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যা ৬টায় জাহাঙ্গীর তাকে ঝাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।
‘ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেদম মারধর করে জাহাঙ্গীর। এ সময় স্কুলছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে মাটিরাঙা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এবং পরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।’
পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে বলে জানান ওসি। তিনি জানান, আজ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর না করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সঞ্জীব কুমার এনটিভি অনলাইনকে জানান, মেডিকেল বোর্ড গঠন করে স্কুলছাত্রীর পরীক্ষা করা হচ্ছে। চলছে চিকিৎসাও।