মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের সাবেক মেয়র মুক্তি কারাগারে
বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি টাঙ্গাইলের সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে অতিরিক্ত প্রথম জেলা ও দায়রা জজের বিচারক মো. সিকান্দর জুলকার নাইন এ আদেশ দেন।
সহিদুর রহমান খান মুক্তি টাঙ্গাইল-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে এবং সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার ছোট ভাই।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মনিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বেলা পৌনে ১১টা দিকে সহিদুর রহমান তাঁর বাবা সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান ও ভাই সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে সঙ্গে নিয়ে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে উপস্থিত হন। এ সময় তাঁরা আদালত কক্ষের ভেতর অবস্থান নিয়ে আত্মসমর্পণের কাগজপত্র জমা দেন। পরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিকেল ৩টার দিকে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।’
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মনিরুল ইসলাম, আসামিপক্ষে ছিলেন আব্দুল বাকী মিয়াসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. রফিকুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পরে গোয়েন্দা পুলিশ রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুজনকে ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে গ্রেপ্তার করে। ওই দুই আসামির জবানবন্দিতে এই হত্যার সঙ্গে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের তৎকালীন সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা এবং তাঁর অপর তিন ভাই পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। তার পরই আমানুর ও সহিদুরসহ চার ভাই আত্মগোপনে যান। পরে আমানুর ২২ মাস পলাতক থাকার পর আদালতে আত্মসর্মপণ করেন। প্রায় দুই বছর হাজতে থাকার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। তবে তাঁর অপর তিন ভাই এখনো পলাতক রয়েছেন। আদালতে এ হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।