হেল্প ডেস্ক খুলেছে আইএস!
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) ধর্মীয় জিহাদের কথা বলে যুদ্ধ করছে। দিনে দিনে শক্তি সঞ্চয় করছে তারা। অবশ্য পাল্টা আঘাতে দুর্বলও হয়ে পড়ছে মাঝেমধ্যে। সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধরত আইএস সবকিছুর পাশাপাশি সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম ঠিকই চালু রেখেছে। আর এজন্য হেল্প ডেস্কও খুলেছে তারা!
প্রযুক্তিতে বিশেষ জ্ঞানসম্পন্ন পাঁচ/ছয়জন ব্যক্তি ২৪ ঘণ্টা এই হেল্প ডেস্কে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। যারা যোগাযোগ প্রযুক্তির বাধা ভাঙতে, ব্যক্তিগত তথ্য লুকাতে এবং চুপিসারে টুইটারের মতো মাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে শেখায়।
সন্ত্রাসবিরোধী কেন্দ্রের সাইবার বিশেষজ্ঞ ড. অ্যারন ব্রান্টলি সিএনএনকে বলেন, এটা এক ধরনের হেল্প ডেস্কের মতো। তবে এমন না যে পাহাড়ের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কোনো কল সেন্টার। বরং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন স্থান থেকে এসব তথ্য সহায়তা দিয়ে থাকে।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব তথ্য দেওয়া হয় টেলিগ্রাম নামে একটি বার্তা পাঠানোর অ্যাপ ব্যবহার করে। এই অ্যাপ আইএসের সদস্যদের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয়। কারণ এখানে বিশেষ গোপন চ্যাটের সুবিধা পাওয়া যায়।
আইএসের এই জিহাদি হেল্প ডেস্কের কাছে আছে বিস্তারিত প্রশিক্ষণের তথ্য, ৩০০ পৃষ্ঠার বেশি প্রশিক্ষণের তথ্য এবং অন্তত ২৫টি ইউটিউব ভিডিও যেগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ও গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দেওয়ার বিষয়ে বিভিন্ন টিপস পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আইএসের এই তথ্য সহায়তা দেওয়া ব্যক্তিরা প্রযুক্তিগতভাবে ভীষণ আধুনিক বলে মন্তব্য করেন ড. ব্রান্টলে।
আইএসের হেল্প ডেস্ক থেকে কী ধরনের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয় চলুন দেখে নিই :
• টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলো ব্যবহারের সময় কিভাবে আপনার ফোন নম্বর লুকিয়ে রাখবেন?
• জিহাদিরা যোগাযোগের জন্য স্কাইপের মতো সেবাগুলো ব্যবহার করবেন কি না?
• ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করলে সেক্ষেত্রে কীভাবে ব্যবহারকারীর অবস্থান লুকিয়ে রাখতে হবে।
• ফেসিয়াল রিকগনিশন টেকনোলোজি বা মুখ দেখে চেহারা চেনার পদ্ধতিতে কীভাবে ব্যহত করতে হয়।
• ফোন করার জন্য কোন অ্যাপটি ব্যবহার করা সবচেয়ে নিরাপদ।
• ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলে অন্য কী উপায়ে ডিজিটালভাবে যোগাযোগ করা যায়।
• কীভাবে নিরাপদ থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।
আর এভাবেই একেবারে নতুন জিহাদিদের স্বতন্ত্রভাবে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য করে আইএসের হেল্প ডেস্ক। ফলে নিজেকে লুকিয়ে, নিষেধের বেড়াজাল পেরিয়ে অসংখ্য মানুষকে তথাকথিত জিহাদে উদ্বুদ্ধ করে।