জিয়াউর রহমানের সমাধি সরিয়ে নিতে স্পিকারের কাছে আবেদন
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, সংসদ ভবনের আশপাশ থেকে জিয়াউর রহমানের সমাধিসহ সব স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য স্পিকার বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আবেদন পর্যালোচনা করে সংসদ ভবন এলাকা থেকে সব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংসদ ভবনকে মূল নকশায় ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
এ সময় আ ক ম মোজাম্মেল হক আরো বলেন, ‘সংসদ ভবনের চত্বরে কোনো কিছু থাকাই অভিপ্রেত নয়। মূল নকশা অনুযায়ী যেমন মূল নকশা ছিল তেমন করে সংসদ চত্বর থাকবে। এখানে জিয়াউর রহমানসহ আরও অনেকের, অনেক অবাঞ্ছিত ব্যক্তির কবর আশেপাশে আছে। সেগুলো থাকতে পারে না। যে সমস্ত স্থাপনা আছে, তাও থাকতে পারে না। মাননীয় স্পিকারের কাছে আগেও আবেদন করেছি, আজকেও বলতে চাই, দয়া করে সংসদ চত্বর তার যেটা মূল পরিকল্পনায় যেভাবে ছিল, সেভাবেই যেন রাখা হয়।’
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘জিয়ার কবরের লাশ সেখানে দিয়েছে, এটা মিথ্যা কথা। সেখানে কোনো লাশ নাই। থাকলে ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করুক। সেখানে অন্য কিছুর লাশ সেখানে দেওয়া হয়েছে। জিয়াউর রহমানের লাশ তারা খুঁজে পায় নাই।’
এর আগে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেন, ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার কবরে যে বিএনপি মারামারি করল, বিএনপি জানে না যে সেখানে জিয়ার কবর নাই, জিয়ার লাশ নাই? তারা তো ভালোই জানে, তাহলে এতো নাটক করে কেন? খালেদা জিয়াও ভালোভাবে জানে। তারেক জিয়া কি বলতে পারবে তাঁর বাবার লাশ দেখতে পেয়েছে, গুলি খাওয়া লাশ তো দেখাই যায়। তাঁরা কি দেখেছে কখনও, বা কোনো ছবি দেখেছে কেউ? দেখেনি। কারণ ওখানে কোনো লাশ ছিল না। ওখানে একটা বাক্স আনা হয়েছিল। ওই বাক্সের ফাঁক দিয়ে যারা দেখেছে একটু, সেই এরশাদের মুখ থেকেই শোনা, কমব্যাট ড্রেস পরা ছিল। জিয়াউর রহমান তো তখন প্রেসিডেন্ট, তখন তো সে কমব্যাট ড্রেস পরে না। এটা কি বিএনপির লোকেরা জানে না।’