সিলেট-৩ উপনির্বাচনে ৬৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে নৌকার জয়
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জের একাংশ) বিপুল ব্যবধানে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব।
উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আনুষ্ঠানিক ফলাফল অনুযায়ী, এক লাখ ১৪ হাজার ৩০৯ ভোটের মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব পেয়েছেন ৮৯ হাজার ৭০৫ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২৪ হাজার ৬০৪ ভোট। হাবিব প্রতিদ্বন্দ্বী আতিকুর রহমানের থেকে ৬৫ হাজার ১০১ ভোট বেশি পেয়েছেন।
এদিকে কোনো ধরনের গোলযোগ ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। আজ শনিবার এ উপনির্বাচনের ১৪৯টি কেন্দ্রে সকাল ৮টার দিকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে।
সংসদীয় এ আসনটির নির্বাচনে প্রায় ২৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ১৪৯টি কেন্দ্রে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক (লাঙল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরী (মোটরসাইকেল)।
দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসন। ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। এরপর ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দেরিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়। ২ মার্চ ঘোষিত তফসিল ঘোষণার সময় ১৪ জুলাই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশে ২৮ জুলাই নতুন তারিখ দেওয়া হয়। নির্বাচনের দুদিন আগে একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেন। অবশেষে আজ ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।