নোট বাছাইয়ে নির্দেশনা না মানলে অর্থদণ্ড
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে তিন ভাগে বিভক্ত করে নোট জমার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নোট জমা দেওয়ার সময় ব্যাংকগুলোকে পুনঃপ্রচলনযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য ও খণ্ডিত নোট (মিউটিলেটেড) নোট আলাদাভাবে জমা দিতে হবে। এ নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে নেগেটিভ পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থদণ্ডের ক্ষেত্রে ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুসরণ করা হবে।
গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এমন নির্দেশনা দিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
যথাযথভাবে নোট বাছাই (সর্টিং) করে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়ার নির্দেশনা মানছে না অনেক বাণিজ্যিক ব্যাংক। নতুন, পুরোনো, ছেঁড়া-ফাটাসহ সব নোট বিশৃঙ্খলভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা করছে ব্যাংকগুলো। ফলে নির্দেশনা না মানলে এবার অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে ব্যাংকগুলোকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, যথাযথভাবে নোট বাছাই, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নোট জমা দেওয়া ও নেওয়া, নোটে তোড়া বাঁধার নিয়ম-কানুন, জালনোট প্রচলন প্রতিরোধে করণীয়, ব্যাংকের শাখায় গ্রাহকদের জন্য পর্যাপ্ত ধাতব মুদ্রার ব্যবস্থা রাখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে চলতি বছরের শুরুতে কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে একটি মাস্টার সার্কুলার জারি করা হয়। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকে নোট জমা দেওয়ার সময় প্রচলনযোগ্য ও অপ্রচলনযোগ্য নোট আলাদাভাবে জমা দিতে হবে।
তবে বেশির ভাগ ব্যাংক এ নির্দেশনা না মানায় নতুন করে আবারো প্রজ্ঞাপন জারি করে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।