লক্ষ্য অর্জনে শেখ হাসিনা কখনও পিছপা হননি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের নতুন বই ‘শেখ হাসিনা : বিমুগ্ধ বিস্ময়’। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে বইটি তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নিউইয়র্কের লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে বইটি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শনিবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ড. মোমেনের সম্পাদিত এ গ্রন্থে রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিকসহ নানা শ্রেণি-পেশার গুণী ও বিদগ্ধজনের ৭৫টি লেখা স্থান পেয়েছে। এতে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত জীবন, রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও বহুমাতৃক নেতৃত্বের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে।
ড. মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে ছয় বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন এবং বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে আসার সুযোগ পেয়েছেন। এ বইয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর লেখায় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে প্রধানমন্ত্রীর সাদামাটা জীবনের একটি তুলনামূলক চিত্র অঙ্কন করেছেন।
এ গ্রন্থ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবন ও উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গি দেশবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বইটি প্রকাশিত হয়েছে। শেখ হাসিনা কথা নয়, কাজে বিশ্বাসী। লক্ষ্য অর্জনে কখনও পিছপা হননি তিনি। তাঁর অক্লান্ত প্রয়াসে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। এ দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আজ বিশ্ববাসীর কাছে এক বিস্ময়।’
ড. মোমেন আরও বলেন, “২০২১ সালে ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী’ ও ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ আমরা এক সঙ্গে উদযাপন করছি। একই বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন। তিনটি বিষয়ই বাঙালি ও বাংলাদেশের জন্য গৌরব আর অহংকারের।”
ড. মোমেন পেশাগত জীবনে দীর্ঘদিন অধ্যাপনায় নিযুক্ত ছিলেন। পেশাগত ব্যস্ততার মাঝে সময় পেলেই তিনি বই পড়েন ও লেখালেখি করেন। তাঁর গ্রন্থিত ও সম্পাদিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে ‘জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ : শেখ হাসিনা’, ‘বাংলাদেশ—একুশ শতকের পররাষ্ট্রনীতি : উন্নয়ন ও নেতৃত্ব’, ‘বাংলাদেশ : রোড টু ডেভেলপমেন্ট’, ‘বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি নয়’, ‘বাংলাদেশ মার্চিং ফরোয়ার্ড’, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ : উন্নয়ন ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা’, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’, ‘বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সমগ্র ১৯৫৫-১৯৭৫’, ‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা : বাংলাদেশের উন্নয়ন ভাবনা ও কূটনীতি’, ‘টেকসই উন্নয়নের পথে অভিযাত্রা : বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’, ‘সাউথ সাউথ কো-অপারেশন : ফাইন্যান্সিং এসডিজি’, ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি অব এমপাওয়ারিং পিপল’, ‘বাংলাদেশ : ফোরটি ইয়ারস ইন দ্যা ইউএন’। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা গবেষণাগ্রন্থে তাঁর প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা আড়াইশ’রও বেশি।