জামালপুরে হত্যা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
জামালপুরে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহণকারী মোটরসাইকেল চালক মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক (৪৫) হত্যা মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আজ রোববার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান এই রায় দেন।
রায় ঘোষণার পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র জানান, শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রূপারপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের বড় ছেলে মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০০৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রী পরিবহণের উদ্দেশে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। সেদিন রাতেই দুষ্কৃতকারীরা তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। পরে তার মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। তারা তার লাশ জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর-বকশীগঞ্জ-রৌমারী সড়কের চন্দ্রাবাজ গ্রামের ড্রাম ব্রিজ নামক স্থানে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। পরের দিন নিহত আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছোট ভাই মো. হেদায়েতুল ইসলাম সাগর (২৬) বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে তদন্ত সাপেক্ষে আবু বক্কর ছিদ্দিকের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে আসামিকে চিহ্নিত করা হয়।
২০১৫ সালের ৬ জুন অভিযোগ গঠনের পর ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিচার প্রক্রিয়া শেষে আজ দুপুরে জামালপুরের মিরিকপুর এলাকার মো. আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ সিনিয়র দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান। এ ছাড়া দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারা মতে অতিরিক্ত দুই বছর এবং দণ্ডবিধির ২০১ ধারা মতে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
মামালায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নির্মল কান্তি ভদ্র এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ।