হবিগঞ্জে বিএনপির ‘বিদ্রোহীরা’ সরলেও থাকল আ. লীগের
হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আট মেয়র পদপ্রার্থীর মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির দুই ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশীদ এমরান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ইসলাম তরফদার তনু রয়েছেন।
তবে এখানে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে রয়ে গেছেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মিজানুর রহমান মিজান। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এ ছাড়া এ পৌরসভার মেয়র পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করা জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিবলী খায়ের ‘অসুস্থতার’ কারণ দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
আজ রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে হবিগঞ্জ পৌরসভায় তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এর ফলে এখানে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে লড়বেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় কারাগারে আটক বর্তমান মেয়র (সাময়িক বরখাস্ত) আলহাজ জি কে গউছ।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশীদ এমরান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম ইসলাম তরফদার তনু এনটিভি অনলাইনকে জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশে দলের বৃহত্তর স্বার্থে তাঁরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ মিজানুর রহমান মিজান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নির্বাচন করব বলেই আমি দল থেকে পদত্যাগ করেছি।’
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়া জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট শিবলী খায়ের বলেন, ‘আমি অসুস্থ। চিকিৎসকের পরামর্শে বিশ্রাম নিতে হচ্ছে। তাই নির্বাচন থেকে সরে আসতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’