বৈদ্যুতিক শক দিয়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ফেনীর ফাজিলপুরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ শিরীন আক্তারকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার দায়ে স্বামী ইয়াছিনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। আজ রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. বেগম জেবুন্নেছা এই রায় দেন। এ সময় আদালত জানান, আসামি চাইলে আগামী সাত দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২৬ নভেম্বর ফেনী সদর উপজেলার ফাজিলপুর এলাকার মো. ইয়াছিনের সঙ্গে শিরীন আক্তারের বিয়ে হয়। চার মাস না যেতেই পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৯ সালের ৫ মার্চ রাতে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় শিরীনকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুদিন পর ৭ মার্চ খুনের অভিযোগ এনে শিরীনের মা রেজিয়া বেগম বাদী হয়ে ইয়াছিনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই দিনই বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইয়াছিনকে। পরদিন ৮ মার্চ তিনি ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু তাহের চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি ইয়াছিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ১০ নভেম্বর মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। এ সময় আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
মামলায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হাফেজ আহম্মদ ও বাদী রেজিয়া বেগম। তাঁরা জানান, রায়ে তাঁরা খুশি। আর কেউ যেন এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায় সেজন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে।
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সাত্তার বলেন, রায়ে ন্যায়বিচার পাওয়া যায়নি।