করোনা নিয়ে রিয়াদ ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের হ্যালো ডাক্তার সেবা চালু
‘করোনায় স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে বাঁচি, দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিতে ঢাকা মেডিকেল সেন্টারে আসি' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সৌদি আরবের রিয়াদের বাথায় একমাত্র বাংলাদেশি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের যেকোনো ধরনের অনলাইন সেবা দিতে 'হ্যালো ডাক্তার' নামে সেবা চালু করা হয়েছে।
এখন থেকে প্রবাসীরা ঘরে বসেই ৯৯৭ নম্বরে কল করে চিকিৎসকের পরামর্শ ও হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার আগে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন। ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের পেশেন্ট ও পাবলিক রিলেশন অফিসার, সাংবাদিক ও নাট্যকার মো. জাহাঙ্গীর আলম হৃদয়ের গ্রন্থনা, পরিকল্পনা ও উপস্থাপনায় ফেসবুক লাইভে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন। হ্যালো ডাক্তার অনুষ্ঠানে উপস্থিত চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবেন অথবা- ০৫৩৭০৪৪৪৪৬ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মেসেজ করতে পারেন। আপনাদের পাঠানো প্রশ্নগুলোর উত্তর চিকিৎসকরা দেবেন।
ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের হ্যালো ডাক্তার অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন ডা. আনির রুদ্র পাঠক। তিনি করোনাভাইরাস নিয়ে করণীয় সে সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি বলেন, জ্বর, সর্দি, কাশি এটি আবহাওয়া পরিবর্তন হলেও হয়। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে যদি এইগুলোর মাত্রা বেড়ে যায় বা আপনি শারীরিকভাবে অস্বস্তিবোধ করেন তাহলে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল সেন্টার অথবা নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। করোনায় আতঙ্কিত না হয়ে সবাই সচেতন হই।
হ্যালো ডাক্তার অনুষ্ঠানের বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর কিছু মানবিক চিন্তা থেকে প্রবাসীদের আন্তরিকতার কারণেই সৌদি আরবে রিয়াদের বাথায় বাংলাদেশিদের জন্য ঢাকা মেডিকেল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। আল্লাহ পাক সবাইকে সুস্থ রাখুন সেই দোয়া করি।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমি শুরুতেই ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের পক্ষ থেকে সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা। প্রবাসের মাটিতে দেশীয় একমাত্র স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র রিয়াদ বাথা ঢাকা মেডিকেল সেন্টার ২০১৬ সালের ১৬ জুন চালু হয়। ২০১৬ সালে ৯ হাজার ৮৮০ জন, ২০১৭ সালে ৪৯ হাজার ৯৯৪ জন, ২০১৮ সালে ৫৪ হাজার ৭৫২ জন, ২০১৯ সালে ৭৪ হাজার ৩৭৯ জন এবং ২০২০ সালের ২২ মার্চ পর্যন্ত ২১ হাজার ৩৬ জনকে সেবা দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের ২২ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল সেন্টারের পক্ষ থেকে প্রায় দুই লাখ ১০ হাজার প্রবাসীকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে সক্ষম হয়েছে।
আল মামুন বলেন, এই প্রাপ্তি আমাদের একার নয়, এ প্রাপ্তি সমস্ত প্রবাসীর, সবার আন্তরিকতা, সহযোগিতা ছিল বলেই তা সম্ভব হয়েছে। আগামীতেও বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল সেন্টারকে এগিয়ে নিতে আপনাদের আন্তরিক পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করছি। প্রবাসীদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষে কর্তৃপক্ষ, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সদাপ্রস্তুত। পাশাপাশি যেকোনো প্রয়োজনে ঢাকা মেডিকেল সেন্টার পরিবারকে স্মরণ করবেন। আমরা সব সময়, সব ভালো কাজে প্রবাসীদের কল্যাণে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
অর্থ পরিচালক মাওলানা সফিউল্লাহ বলেন, প্রবাসীদের সেবা দিতে আমরা তৈরি আছি, বর্তমান বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস আতঙ্কে পৃথিবীর সবাই আতঙ্কিত। আমি বলব, আতঙ্কিত না হয়ে মহান আল্লাহর রহমতের জন্য দোয়া চান, আল্লাহ পাক অবশ্যই তার বান্দাদের হেফাজত করবেন। আর প্রবাসী বাংলাদেশি ভাইদের বলব, আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন, মুখে মাক্স, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যাবহার করুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন, আপনাদের যেকোনো স্বাস্থ্যসেবার জন্য ৯৯৭ কল করুন ইনশা আল্লাহ আমরা চেষ্টা করব আপনাদের সেবা দিতে। মহান আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন এবং সুস্থ ও নেক হায়াত দান করুন – আমিন।