শফিক রেহমানের মুক্তি দাবি অস্ট্রেলিয়া বিএনপির
প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানের মুক্তি দাবি করেছে অস্ট্রেলিয়া বিএনপি। স্থানীয় সময় সোমবার সকালে শফিক রেহমানের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়া শাখার অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়ক রুহুল আহমেদ। সভা পরিচালনা করেন অন্তর্বর্তীকালীন সদস্যসচিব মো. আবুল হাছান। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন অস্ট্রেলিয়া যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মতিন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার তনু হত্যাসহ অন্যান্য হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একের পর এক নাটক সাজাচ্ছে। তাঁরা আরো বলেন, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের অবৈধ ব্যাংক ব্যালান্সের ঘটনাকে ঢাকার জন্য সরকার প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাঁরা শফিক রেহমানের গ্রেপ্তরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকারের পাপের বোঝা এত ভারী হয়েছে যে, এর প্রতিদান বাংলাদেশের জনগণ কড়ায় গণ্ডায় একদিন বুঝিয়ে দেবে। বক্তারা অবিলম্বে সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান ও শওকত মাহমুদের মুক্তি দাবিচ করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে জয়ের অবৈধ টাকার সঠিক তথ্য জনগণের সামনে প্রকাশের দাবি জানানো হয়। বক্তারা এ টাকা সাধারণ শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বলে দাবি করেন।
সমাবেশে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া বিএনপির সাবেক সভাপতি মনিরুল হক জজ এবং ডা. আবদুল ওয়াহাব, সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ মো. লুৎফুল কবির, সাবেক সদস্য সচিব সোহেল মাহমুদ ইকবাল, জাকির আলম লেনিন প্রমুখ।
এ ছাড়া সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম, সহিদ পারভেজ, আবদুস সাত্তার, আহসানুল হক ইসমাইল, মনির আলী মিয়া, আশরাফুল আলম রনী, সেলিম খান মকুল, ফেরদৌস অমি, মাসুদুর রহমান, মো. হাবিবুর রহমান, সৈয়দ আলম রিয়াদ, মিতা কাদরী, মো. শামিম, মো. ইকবাল হোসেন, মো. রাশেদুল ইসলাম সোহাগ, মো. তাজুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।