ইজতেমায় জুমার নামাজে অংশ নিতে লাখো মুসল্লির ঢল
পবিত্র জুমার নামাজে অংশ নিতে ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হচ্ছেন। বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো লাখ লাখ মুসল্লিকে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় সকাল থেকে জিকির-আসগারে ইজতেমার মাঠে আসতে দেখা গেছে।
আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর ছোট ছেলে ইলিয়াস বিন সাদ’র আম বয়ানের মাধ্যমে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ শুক্রবার ফজরের নামাজের পর উর্দুতে বয়ান শুরু করেন, যা বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
এদিন সকাল ১০টা থেকে ভারতের মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ তালিম করেন। জুমার নামাজের আগে ১০ মিনিট ফাজায়েল বয়ান করেন মাওলানা মনির বিন ইউসুফ।
প্রথম পর্বের মতো আজ শুক্রবার দুপুর দেড়টায় টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে দেশের সবচেয়ে বড় জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জুমার নামাজ পরিচালনা করবেন মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ। এদিন বাদ জুমা বয়ান করবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাওলানা শেখ মোফলে এবং এর বাংলা তরজমা করবেন মাওলানা শেখ আব্দুল্লাহ মনসুর।
বাদ আছর বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মোশারফ, এবং বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ বয়ান করবেন, যা বাংলায় তরজমা করবেন মাওলানা জিয়া বিন কাশেম।
বিদেশি মুসল্লিদের খিত্তার পূর্ব পাশের মঞ্চ থেকে তাবলীগ জমাতের শীর্ষ মুরুব্বিরা বয়ান করেন। প্রথম পর্বের মতো বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বেও টঙ্গীর তুরাগ তীরে ঢল নেমেছে মুসল্লিদের। এসেছেন অনেক বিদেশি মেহমানও।
প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছেন। ১৬০ একর ময়দানে কিছু অংশ চটের প্যান্ডেল এবং ময়দানের বাকি অংশ ইজতেমায় যোগ দিতে আসা মুসল্লিরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সামিয়ানা টানিয়েছেন। তবে বিদেশি মেহমানদের জন্য টিন দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক সুবিধাসহ আবাসস্থল।
ইজতেমায় আসা রবিউল জানান, ইজতেমায় জুমার নামাজে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জমায়েত হয়। এ ধরনের বড় জমায়েতের মধ্যে আল্লাহর অনেক নেক বান্দা থাকেন; যাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। এ কারণেই মানিকগঞ্জ থেকে ইজতেমা ময়দানে এসেছি জুমার নামাজ আদায় করতে।
ঢাকার কাঁঠাল বাগানের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন বলেন, ইজতেমায় জুমার নামাজ আদায় অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। তাই ইজতেমার মাঠে মুসল্লিদের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করতে তিনি সকাল বেলা পুরান ঢাকা থেকে রওনা হয়েছেন।
মুসল্লিদের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করতে ঢাকা এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে অতিরিক্ত কয়েক লাখ লোক আসেন। প্রত্যেকেরই উদ্দেশ্য থাকে- মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।