রম্য
অটোরিকশা মিটারে না গেলে আপনি যা করতে পারেন
বারে বারে আইন করে সিএনজি অটোরিকশা মিটারে চলার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা একেবারেই মেনে চলছেন না দেশের সিংহভাগ অটোরিকশাচালক। তো, এমতাবস্থায় আপনি কী করতে পারেন, তা-ই এখন জানাচ্ছেন—
গুজব ছড়িয়ে দিন, সামনেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম টহল দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। এতে শাস্তি আর জরিমানার ভয়ে সে মিটারে যেতে রাজি হয়ে যাবে।
গুজবে কাজ না হলে নিজেই বনে যান মোবাইল কোর্টের সদস্য। এর পর আর আপনাকে মিটারে না নিয়ে যেতে চাইবে এমন সাহস আছে কার!
নিজেকে একজন সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলুন, সিএনজি মিটারে যাচ্ছে না, এটা নিয়ে প্রতিবেদন লিখতে এসেছেন। দেখবেন, তখন ভয় পেয়ে সবাই আপনাকে মিটারে নিয়ে যেতে চাইবে।
মিটারে যেতে না চাইলে হুট করে পকেটের মোবাইলটি বের করে সিএনজিওয়ালার ছবি বা ভিডিও তোলা শুরু করুন। সে মিটারে যাচ্ছে না, এটা আপনি অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগ সাইটে ছড়িয়ে দেবেন ভেবে সহজেই মিটারে চলতে রাজি হয়ে যাবে।
হাতে একটা কলম আর নোটপ্যাড নিয়ে সিএনজির নম্বরটি টুকে রাখার অভিনয় করুন। বেচারা আপনাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোক ভেবে ভয়ে মিটারে নিয়ে যেতে রাজি হবে।
‘এই সিএনজি মিটারে যেতে চায় না’ এমন স্টিকার বা পোস্টার সঙ্গে নিয়ে ঘুরুন। এবার কেউ মিটারে না গেলে সেটা তার সিএনজিতে এঁটে দেবেন—এমন কথা বললেই দেখবেন সে যেতে রাজি হয়ে গেছে!
স্বপ্নে দেখেছেন, মিটারে না গেলে অটোরিকশা অ্যাক্সিডেন্ট করবে—এমন কথা ‘সিএনজি’ওয়ালার সামনে বলুন। নিজের প্রাণের মায়ায় হলেও সে আপনাকে মিটারে নিয়ে যেতে রাজি হবে।
নিজেকে যোগাযোগমন্ত্রীর আত্মীয় দাবি করে সিএনজিতে উঠুন। দেখবেন সিএনজিওয়ালা এমনিতেই মিটারে চলতেছে!
টিভিতে দেখেছেন সিএনজি মিটারে গেলে সরকার র্যাফেল ড্রর মাধ্যমে সিএনজিওয়ালাদের বাড়ি, গাড়ি, স্বর্ণালংকার গিফট করবে, এমন কথা বলে দেখুন। আশা করা যায়, সিএনজিওয়ালা আপনাকে জোর করে হলেও মিটারে নিয়ে যাবে!