শীর্ষ দশের ৮০ শতাংশই দুর্বলদের দখলে, কমেছে মূলধন
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) লেনদেনের পরিমাণ আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে। শেয়ারবাজার মূলধন কমেছে দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা। একটি বাদে বাকি পাঁচ ধরনের সূচক পতন হয়েছে। টপটেন লেনদেনের ৮০ শতাংশ দুর্বল কোম্পানির (‘বি’ ক্যাটাগরি) শেয়ারের দখলে রয়েছে। দুর্বল কোম্পানিগুলো হলো ফু-ওয়াং সিরামিক, সেন্ট্রাল ফার্মা, প্যাসিফিক ডেনিমস, ইভেন্স টেক্সটাইল, খুলনা প্রিন্টিং, সিএন্ডএ টেক্সটাইল, ওয়ের্স্টান মেরিন ও বিডি থাই।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্র মতে, গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৫৩ কোটি ১৪ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৭ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে দুই হাজার ৪০০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আলোচিত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ছয কোটি ২২ লাখ টাকা। তালিকাভুক্ত ২৫৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৪৩টির, দর কমেছে ৭৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩২টি কোম্পানির।
একটি বাদে বাকি পাঁচ ধরনের সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়। এক সপ্তাহে ব্যবধানে প্রধান সূচক সিএএসপিআই দশমিক ২৪ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৪৯৫ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে। সিএসই৫০ সূচক দশমিক ২২ শতাংশ, সিএসই৩০ সূচক দশমিক ৪৫ শতাংশ, সিএসইসিএক্স সূচক দশমিক ২৫ শতাংশ এবং সিএসইআই সূচক দশমিক ৩৬ শতাংশ কমে দাঁড়ায় যথাক্রমে এক হাজার ৩০৩ দশমিক ২৭ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ২৮২ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৬১ দশমিক ১৪ পয়েন্টে এবং এক হাজার ১৬৯ দশমিক শূন্য তিন পয়েন্টে। এ ছাড়া সিএসই এসএমইএক্স এক দশমিক ৪৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় যথাক্রমে দুই হাজার ৫৯৫ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে।
গেল সপ্তাহে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮০ ভাগ কোম্পানির শেয়ার টপটেন লেনদেনে অবস্থান করেছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির ২০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর টপটেন লেনদেনে রয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ‘এ’ ক্যাটাগরির পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার। একাই ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন করেছে।
এ ছাড়া ফু-ওয়াং সিরামিকের (‘বি’ ক্যাটাগরি) চার কোটি ২৭ লাখ টাকা, সেন্ট্রাল ফার্মার (‘বি’ ক্যাটাগরি) দুই কোটি পাঁচ লাখ টাকা, প্যাসিফিক ডেনিমসের (‘বি’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ৯২ লাখ টাকা, ইভেন্স টেক্সটাইলের (‘বি’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ৭৬ লাখ টাকা, খুলনা প্রিন্টিংয়ের (‘বি’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ৬৪ লাখ টাকা, সিএন্ডএ টেক্সটাইলের (‘বি’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ১৭ লাখ টাকা, ওয়ের্স্টান মেরিনের (‘বি’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ১৫ লাখ টাকা, বিডি থাইয়ের (‘বি’ ক্যাটাগরি) এক কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং ওরিয়ন ফার্মার (‘এ’ ক্যাটাগরি) এক কোটি পাঁচ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।