আফিফের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াইয়ের পুঁজি
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে খেলছে বাংলাদেশ। কিন্তু অপেক্ষাকৃত দূর্বল দলটির সামনেও ব্যাটিং নিয়ে হতাশায় ডুবল বাংলাদেশ। বরাবরের মতো হতাশা দেখিয়েছেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা। আফিফ হোসেনের ব্যাটে কোনো মতে আরব আমিরাতকে ১৫৯ রানের টার্গেট দিতে পেরেছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আরব আমিরাতের বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৫৮ রান তোলে বাংলাদেশ।
এদিন টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে খেলা শেষ ম্যাচের দুই ওপেনার সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ওপর ভরসা রাখে টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু দুজনেই ব্যর্থ হন। রানের খাতাও খুলতে পারেননি সাব্বির আর মিরাজ ফেরেন ১৪ বলে ১২ রান করে।
এরপর একে একে লিটন দাস, ইয়াসির আলি রাব্বি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সতীর্থদের আশা যাওয়ার মিছিলে উইকেটে থিতু ছিলেন আফিফ হোসেন। ৩৮ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
আফিফের ব্যাটে চড়েই কোনো মতে এই পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ৫৫ বলে অপরাজিত ৭৭ রান করেন আফিফ। তার ইনিংসে ছিল ৭টি বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কা। শেষ দিকে নেমে নুরুল হাসান সোহান সমান দুই ছক্কা ও চারে করেন ২৫ বলে ৩৫ রান।
আসন্ন অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুই ম্যাচের একটি সিরিজ খেলতে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। মূলত বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা একাদশ বাছাইয়ের জন্য এই ম্যাচগুলো ড্রেস রিহার্সাল।
এই সিরিজে নেই বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাঁর বদলে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নুরুল হাসান সোহান।
আজ প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৭ অক্টোবর। ম্যাচ দুটি হবে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এরপর ২৮ তারিখ বাংলাদেশ দল ফিরে আসবে ঢাকায়।
আরব আমিরাতের বিপক্ষে এর আগে বাংলাদেশ মাত্র ১টি ম্যাচ খেলেছিল। ২০১৬ এশিয়া কাপে ঘরের মাঠে ম্যাচটিতে বাংলাদেশ জয় পায় ৫১ রানে। এ ছাড়া এই ম্যাচের মধ্যে দিয়ে দুবাইয়ে জয়ের খরাও কাটানোর লক্ষ্য বাংলাদেশের। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপে দুই ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে। আরব আমিরাতে খেলা সবশেষ ৭ ম্যাচের একটিতেও জেতেনি বাংলাদেশ। এবার জয়ের ছন্দে ফিরতে পারে কি না সেটাই দেখার।