আর কি ফেরানো হতে পারে হাথুরুসিংহেকে?
ক্রিকেটে চরম দুঃসময় পার করছে বাংলাদেশ দল। টেস্ট, টি-টোয়েন্টি থেকে ওয়ানডে—কোনো ফরম্যাটে নেই ভালো খবর। দীর্ঘ ৯ বছর পর জিম্বাবুয়ের কাছেও টানা দুই সিরিজে ভরাডুবি। ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে সমালোচনা চলছে জোরেসরে।
ক্রিকেটারদের মাঠের পারফরম্যান্স থেকে শুরু করে মনোভাব, কোচিং প্যানেলের ভূমিকা, পরিকল্পনা—সবকিছু নিয়েই সমালোচনা হচ্ছে। এমন দুর্দিনে ঘুরে ফিরে আলোচনায় আসছেন বাংলাদেশের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের নাম। কারণ এই পর্যন্ত বাংলাদেশের যত কোচ এসেছেন তার মধ্যে সবচেয়ে সাফল্য এসেছে এই লঙ্কান কোচের হাত ধরেই।
২০১৪ সাল থেকে একটানা চার বছর বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব পালন করেন হাথুরুসিংহে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন হাথুরুসিংহে। দায়িত্ব ছাড়ার আগে ২০১৫ ও ২০১৬ সালে বাংলাদেশকে উপহার দেন একাদিক সিরিজ জয়ের আনন্দ। এমনকি বড় বড় দলগুলো হারানোর মতো মানসিকতা তিনিই তৈরি করে দিয়ে যান। তাই চরম দুর্দিনে লঙ্কান কোচের কথাই মনে পড়ছে বিসিবির।
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, চন্ডিকা খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারতেন। মাঠে আক্রমণাত্মক মনোভাব রাখতে পারতেন। আমাদের এমন একজন কোচ দরকার যে ধীরগতির ক্রিকেট খেলা থেকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেটে রূপান্তরিত করতে পারেন। টি-টোয়েন্টিতে যেভাবে খেলা হয়। আমাদের কোচদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তাদের পরিকল্পনা জানতে হবে। ১৯ আগস্ট তাদের ঢাকায় আসার কথা, আমরা পরদিন বসতে পারি।’
বিসিবির এই পরিচালক আরো বলেন, ‘আগামী বছর ইংল্যান্ড সিরিজ (মার্চ মাস) পর্যন্ত আমাদের একটি ব্যাপক পরিকল্পনা করতে হবে। আমাদের সামনে ব্যাক-টু-ব্যাক টুর্নামেন্ট রয়েছে, তাই খেলোয়াড়দের প্রাপ্যতা এবং ইনজুরির সমস্যা রয়েছে।’
বিসিবি মনে করে, টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে আরও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত ছিল। এ ব্যাপারে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা স্বীকার করেছি টি-টোয়েন্টিতে ভালো নই। তাই দলে পরিবর্তন আনার জন্য আমরা ইতিবাচক পন্থা নিয়েছি। আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল, যা আমরা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু খেলোয়াড়রা পারফর্ম করতে পারেনি।’
বর্তমান কোচিং প্যানেলের সবাই ১৯ আগস্ট তাদের প্রত্যেকের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ বোর্ডের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে নিয়ে ২০ আগস্ট বৈঠকে বসার কথা কোচিং স্টাফদের। সেখানেই পরবর্তী ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তবে এই দুঃসময়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংকে ফের আনার কথা ভাবছে কি না বিসিবি তখনই জানা যাবে।