এবারের দায়িত্বে যা যা করতে চান বিসিবিপ্রধান
নাজমুল হাসান পাপনের বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি হওয়া অনুমতিই ছিল। পরিচালকদের মতামতে সেটাই হলো। নির্বাচনের পর আজ বৃহস্পতিবার সভাপতি বাছাইয়ের জন্য বৈঠকে বসেন ২৫ পরিচালক। তাঁরা সবাই মিলে বিসিবি সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসান পাপনকেই বেছে নিয়েছেন।
টানা চতুর্থবারের মতো বিসিবিপ্রধানের চেয়ারে বসেছেন পাপন। নতুন মেয়াদে দায়িত্বে এসে তিনটি দিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানালেন বিসিবিপ্রধান।
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা শেষে সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আজ স্বল্প সময়ের মিটিংয়ে আমি বলেছি, অনেক কাজ বাকি আছে। এতদিন অনেক কাজ করেছি এটা মনে করা হবে ভুল। কারণ, এখন আরো কঠিন সময় আসছে। আমাদের প্রথম কাজ হলো শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। এটা আমাদের যতদ্রুত সম্ভব চালু করতে হবে। কারণ আমরা যে আইসিসি ইভেন্টে আবেদন করেছি সেখানে আমাদের এ স্টেডিয়াম দেখানো আছে। এটা ছাড়া কিন্তু আমরা ওই টুর্নামেন্ট পাব না। তো এটা নাম্বার ওয়ান, টপ প্রায়োরিটি।’
এরপর দ্বিতীয়ত গঠনতন্ত্রকে গুরুত্ব দিচ্ছেন পাপন। বলেন, ‘দ্বিতীয়ত হলো, গঠনতন্ত্র। পরিচালকদের গঠনতন্ত্রে কোথায় কী পরিবর্তন আনা যায় তা বলতে বলেছি। পরের বোর্ড মিটিংয়ে তারা পরিবর্তনের মতামত উপস্থাপন করবেন। আমার প্রস্তাব হলো– আমাদের এখানে এতগুলো ক্লাব অংশগ্রহণ করে অথচ ক্লাবগুলোর ভোট নেই। এমন সব ভোটারের নাম দেখি ক্রিকেটের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্কও নেই। এখানে একটা পরিবর্তন আসা দরকার। এটা একটা উদাহরণ দিলাম, এরকম আরো আছে।’
‘তৃতীয়ত, আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থা তৈরি। এটার সঙ্গেই কাঠামোগত উন্নয়নের কথা এসেছে। ক্রিকেট একাডেমি ইতোমধ্যে এক জায়গায় হয়েছে, আরেক জায়গায় হচ্ছে। আর কোথায় কোথায় হবে এটা নিয়ে প্রস্তাব করেছি। আর বয়সভিত্তিকের জন্য নির্দিষ্ট একাডেমি হবে। এখানে আমি প্রস্তাব রেখেছি যে– উন্নত একাডেমি তো কয়েকটা হবে কিন্তু তিনটা থাকবে নির্দিষ্ট। যেমন ব্যাটিংয়ের জন্য একটা থাকবে, পেসারদের জন্য একটা আর স্পিনারদের জন্য একটা। এটা জাতীয় ক্রিকেটারদের জন্য না, ডেভেলপমেন্টের উদ্দেশ্যে। এখানে দেশি হোক বা বিদেশি হোক, নির্দিষ্ট কোচ থাকবে। এছাড়া আমাদের খেলার মাঠ দরকার ৮-১০টা, যেখানে সারা বছর খেলা চালাতে পারি। সামনে আরো বেশি খেলাতে চাই। আর এই মাঠগুলো আমরা (বিসিবি) পরিচালনা করব। ‘