ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬৪ রানের চ্যালেঞ্জ দিল বাংলাদেশ
গত কয়েক ম্যাচে বাংলাদেশকে ভুগিয়েছিল ব্যাটিং বিভাগ। সেই হিসেবে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতেই পারে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ব্যাট হাতে মোটামুটি উজ্জ্বল ছিলেন লিটন-আফিফরা। তাতে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
গায়ানাতে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেছেন আফিফ হোসেন।
পুরো সফরে টপ অর্ডার নিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। গায়ানাতে আজকের ম্যাচে সেই টপ অর্ডারই সাবধানী শুরুতে ভালো করার আভাস দেন। প্রথম চার ওভার থিতু হয়ে যান দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও লিটন দাস। রানের গতি মন্থর হলেও আশা দেখান দুজন।
কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সেই আশা মিলিয়ে যায়। পঞ্চম ওভারেই ওডিন স্মিথের বলে উইকেট দিয়ে আসেন এনামুল। ওভারের তৃতীয় বল তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে সহজ ক্যাচ যায় থার্ড ম্যানে। সেখানে থাকা আকিল হোসেন ক্যাচ নিতে কোনো ভুল করেননি। ভাঙে ৩৫ রানের শুরুর জুটি। ১১ বলে এক চারে এনামুল করেন ১০ রান।
এনামুলের পর উইকেটে গিয়েই স্মিথের শর্ট বলে বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন সাকিব আল হাসান। ছন্দ ধরে রাখতে পারলেন না সাকিবও। পরের ওভারেই ৫ রান করে বিদায় নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এরপর আফিফ হোসেনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন লিটন। বেশ সময় তাঁদের জুটি স্থায়ী হলেও রানের গতি ছিল মন্থর। তবুও এই জুটিতে ভালোই প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৩তম ওভারে এই জুটি ভাঙে বাংলাদেশের। হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়রের ডেলিভারিতে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে তার উপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করেন লিটন। কিন্তু টাইমিং ঠিক রাখতে পারেনি। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ চলে যায় পয়েন্টের ফিল্ডারের হাতে। ভাঙে ৪৪ বল স্থায়ী ৫৭ রানের জুটি। ফেরার আগে ৪৯ রান করেন লিটন। ৪১ বলে তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল দুই ছক্কা ও তিন বাউন্ডারিতে।
লিটন ফিরলে বাকি সময় বাংলাদেশকে টানেন আফিফ হোসেন। ৩৮ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তাঁর হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ওভারে ১৬৩ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। তাঁর সঙ্গে ২০ বলে ২২ রান করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। নুরুল হাসান সোহান করেন ২ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৩/৫ (লিটন ৪৯, এনামুল ১০, সাকিব ৫, আফিফ ৫০, মাহমুদউল্লাহ ২২, সোহান ২*, মোসাদ্দেক ১০*; মেয়ার্স ২-০-১৪-০, ম্যাককয় ৪-০-২৯-০, আকিল ৪-০-৩১-০, স্মিথ ৩-০-৩৪-১, শেফার্ড ২-০-১৯-১, ড্রেকস ১-০-৬-০, ওয়ালশ জুনিয়র ৪-০-২৫-২)।