কে হচ্ছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক?
সাকিব আল হাসানের বিতর্কিত চুক্তির ইস্যুতে বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল ক্রিকেট পাড়া। তবে সেই উত্তেজনায় সাকিব নিজেই জল ঢেলেছেন। সব সংশয় দূর করে, বেটউইনারের প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছেন তিনি। চুক্তি বাতিল করে দেশের ক্রিকেটকে বেছে নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
তাই এশিয়া কাপের দল ঘোষণা করতে আর কোনো বাধা রইল না। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল শুক্রবার এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু সেখানে এখন বড় প্রশ্ন হলো কে হবেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক?
এতদিন ধরে অধিনায়ক হওয়ার তালিকায় প্রথম পছন্দই ছিলেন সাকিব। কিন্তু তাঁর বিতর্কিত চুক্তিটির কারণে সেই সম্ভাবনায় উঁকি দেয় মাহমুদউল্লাহ নাম। কারণ পছন্দের তালিকায় থাকা লিটন দাস ও নুরুল হাসান হোসান চোটের কারণে দলেই থাকতে পারছেন না। তাই ভাবা হয়েছিল, সাকিব না হলে এশিয়া কাপে মাহমুদউল্লাহই হতে পারেন অধিনায়ক।
কিন্তু সেই সম্ভাবনাও এখন প্রায় উড়ে গেছে। কারণ সাকিব তাঁর বিতর্কিত চুক্তিটি বাদ করেছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এশিয়া কাপের দলে থাকছেন তিনি। তাই নেতা হিসেবেও ঘুরে ফিরে এখন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের নামই আসছে। সেক্ষেত্রে এশিয়া কাপ থেকে বাদও পড়তে পারেন মাহমুদউল্লাহ। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাট হাতে খুব বাজে সময় পার করছেন তিনি। তবে সবকিছুর উত্তরই জানা যেতে পারে কাল। এশিয়া কাপের দল ঘোষণা হলেই জানা যাবে, কে হচ্ছেন বাংলাদেশের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
এশিয়া কাপের দল ঘোষণার আনুষ্ঠানিক ডেডলাইন ছিল ৮ আগস্ট। সেটি বিসিবি প্রাথমিকভাবে তিনদিন বাড়িয়েছিল। সেই ডেড লাইন আজ শেষ হলেও বিসিবি দল ঘোষণা দিতে পারেনি। তাই অপেক্ষা বেড়েই চলেছে।
এবার দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়কত্ব দেওয়া নিয়ে ভাবছে বিসিবি। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘অধিনায়ক দলের সাথে প্রকাশ করে দিব। আমরা দীর্ঘমেয়াদী দায়িত্ব দিতে চাচ্ছি, খণ্ডকালীন না। শুধু সাকিব না, যে কেউই হোক, স্কোয়াডেই নেই এমন কাউকে অধিনায়ক দিলে লাভ কি? দল ঠিক করার জন্য আমরা একটু সময় নিচ্ছি। আজকে না করে কাল সিদ্ধান্ত নিয়ে দল জানিয়ে দেওয়া হবে।’
এ ছাড়া দল গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে পাপন বলেছেন, ‘আমাদের দল বাছাই নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। কিছু মৌলিক নিয়ম আছে, এই নিয়ম থেকে সরে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই। সব শেষ করে দ্রুতই আমরা জানাব।’