চেলসিকে হারিয়ে সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে জয়ের জন্য যা যা করা দরকার, সব করার চেষ্টা করেছিল চেলসি। খানিক সফল হয়েছেও, শুধু গোল পায়নি। কখনও থিবো কর্তোয়া, কখনও মাদ্রিদের রক্ষণভাগ রুখে দিয়েছে চেলসিকে।
অন্যদিকে সুযোগ কাজে লাগিয়ে জোড়া গোল করেছেন মাদ্রিদের তরুণ তুর্কি রদ্রিগো। তাতেই রাজার মতো সেমি ফাইনালে ওঠে রিয়াল মাদ্রিদ।
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আজ বুধবার (১৯ এপ্রিল) মুখোমুখি হয় চেলসি ও রিয়াল মাদ্রিদ। রদ্রিগোর জোড়া গোলে চেলসিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে মাদ্রিদ। প্রথম লেগের জয়টা ২-০ ব্যবধানে। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলে জিতে আরও একটা শিরোপার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের প্রথম সুযোগটা নষ্ট করেন চেলসি তারকা এনগেলো কান্তে। মাত্র ১২ গজ দূর থেকে বল মারেন বারপোস্টের বাইরে দিয়ে। এরপর গোটা ম্যাচে আরও ১৯ বার মাদ্রিদের গোল মুখে শট নিয়েছে ব্লুরা। যার ৬টি ছিল সরাসরি তেকাঠিতে। কিন্তু কর্তোয়ার দৃঢ়তায় গোল হয়নি। দুই দলই একাধিক আক্রমণ করলেও গোলশূন্য থাকে প্রথমার্ধ।
বিরতি থেকে ফিরে ৫৮ মিনিটে চেলসির গোলমুখ খোলেন রদ্রিগো। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের সহায়তায় মাদ্রিদকে এগিয়ে নেন তিনি। এই গোলে লস ব্লাংকোদের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায়। ৮০ মিনিটে তা একেবারে পাকাপোক্ত করেন রদ্রিগো। এবার ভালভার্দের সহায়তা নিজের দ্বিতীয় গোল করেন তিনি। পুরোপুরি ছিটকে পড়ে চেলসি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। কেন তারা ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় সবার সেরা, তা প্রমাণ করলো আরও একবার। চেলসির মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা ম্যাচ জিতেছে দাপটের সঙ্গেই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দিনের অন্য ম্যাচে নাপোলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে এসি মিলান। প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয় পায় মিলান। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে জিতে ১৬ বছর পর সেমিফাইনালে উঠল ইতালির ক্লাবটি।