ডমিঙ্গোর অভিযোগ, বিসিবির ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ দলের খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিসিবি ও পরিচালকদের দিকে। দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ক্রিকেটাররা ঘরে-বাইরে তীব্র সমালোচনায় মাথা ঠিক রাখতে পারেন না। এমন অভিযোগে বিব্রত ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। তাই ডমিঙ্গোর কাছে কারণ জানতে চাইবে তারা।
এশিয়া কাপে জেমি সিডন্স ও শ্রীধরন শ্রীরামের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করা হবে। পাওয়ার হিটিং সমস্যা সমাধানে নতুন কাউকে কোচিং প্যানেলে যুক্ত করতে পারে বিসিবি।
ডমিঙ্গো অভিযোগটি এমন সময় করেছেন, যখন টি-টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে সরিয়া দেওয়া হয়েছে তাঁকে। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিসিবি অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করে। আঙুল তুলেছেন খালেদ মাহমুদ সুজনের দিকে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামনে এনে তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটও এমন সমস্যা তিনি দেখেননি। এমন অভিযোগে বিব্রত বিসিবি।
আজ বুধবার ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডমিঙ্গোর এমন আচরণ কাম্য নয়। আমি সভাপতিকে (নাজমুল হাসান) জানিয়েছি। তাঁকে নোটিশ দেওয়া উচিত। তবে এটা শোকজ নোটিশ না। তাঁকে বিষয়গুলো ক্লিয়ার করতে হবে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব। তারপর তাঁর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।’
ক্রিকেটারদের চাপে রাখা হয়, এই অভিযোগ অস্বীকার করে বিসিবির কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে সিরিজ চলাকালীন কোনো কথা বলি না। সে আমাকে না অন্য কাউকে উদ্দেশ করে বলেছে, সেটা আগে জেনে নিই। তবে এটা ইতিবাচক কিছু নয়। তাকে এসব পরিষ্কার করতে হবে।’
কোচিং প্যানেলে শ্রীরাম নতুন সংযোজন হলেও, ভবিষ্যৎ সূচিতে টি-টোয়েন্টি অগ্রাধিকার পাওয়ায় আসতে পারে আরও নতুন মুখ। কথা চলছে জুলিয়ান উডের সঙ্গে। এখনো বিষয়টি আলোচনার মধ্যে আছে বলে জানিয়েছেন জালাল। এশিয়া কাপের পর দরকার পড়লে সাবেক এই ইংলিশ ক্রিকেটারকে পাওয়ার হিটিং সমস্যার সমাধানে সংযোজন হতেও পারে কোচিং প্যানেলে।
আলোচনায় থাকা জুলিয়ান উডের অর্ন্তভুক্তি হয়ত এখন রূপ নিতে পারে বাস্তবতায়। রাস্তাটা অনেকটাই উন্মুক্ত করে দিয়েছেন ডমিঙ্গোই, বিসিবি ও খালেদ মাহমুদকে পারফরম্যান্সের গ্রাফ নিচে নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে। আগামী বছর পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে তাঁর চুক্তিটা শেষ পর্যন্ত টিকবে কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।