ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের যুবারা
ক্রিকেটে সময়টা দুর্দান্ত যাচ্ছে বাংলাদেশের। জাতীয় দলের পাশাপাশি সাফল্য পাচ্ছে বয়সভিত্তিক দলগুলোও। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ফাইনালে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো জিসান-রাব্বিরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) আবুধাবির টলারেন্স ওভালে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে আফগানদের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশের যুবারা। টস জিতে আগে ব্যাট করে সব উইকেট হারিয়ে ৩৭ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১৪৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি আফগান যুবারা। জবাবে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩.২ ওভারেই জয় তুলে নেয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
প্রথম দুই ম্যাচে টানা হেরে বেশ ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল দেশের যুব ক্রিকেটাররা। তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে ছন্দে ফেরার পর পুরো সিরিজটাই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিজেদের করে নিয়েছে। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে সাবধানী শুরু করেছিল আফগানিস্তানের যুবারা। পাওয়ার প্লের প্রথম ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৮ রান তোলেন হিজবুল্লাহ দোরানি এবং ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল।
ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে এসে তাদের দুজনের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মারুফ মৃধা। বাঁহাতি এই পেসারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন হিজবুল্লাহ। দলের রান পঞ্চাশ পেরোবার পর আউট হয়েছেন ওয়াফিউল্লাহ। ২৭ রান করা আফগান এই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান মাহফুজুর।
এরপরের গল্পটা কেবল মাহফুজুরকে ঘিরে। একে একে আউট করেছেন সোহাইল খান, কামরান হোতাক, খালিদ তানিওয়াল, ফারহাদ ওসমানি, ইয়ামা আরবকে। একাই ছয় উইকেট নিয়েছেন মাহফুজুর। রাফি দুটি, শেখ পারভেজ জীবন এবং মারুফ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে জিসানের ব্যাটে বাংলাদেশের শুরুটা হয় ঝড়ো। মাত্র ১৯ বলে ৩৫ রান করে তিনি আউট হন। তার ইনিংস সাজানো ছিল ৭টি চারের মারে। রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪৩ রান। এ ছাড়া আরিফুল ইসলাম ২২ ও আশিকুর রহমান শিবলি ১৭ রান করেন। আফগানদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন কামরান হোতাক।