ফিফার নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে মুখ খুললেন সোহাগ
ফিফা কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার পর অবশেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। আজ বুধবার তার আইনজীবী আজমালুল হোসাইন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন তিনি। এসময় সোহাগকে অনেকটাই হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায়। অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তিনি।
আজ বুধবার (১০ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফিফার নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে তাকে (সোহাগ) প্রশ্ন করা হয় তিনি নির্দোষ কিনা। জবাবে সোহাগ বলেন, ‘আরে ভাই, এটা তো সময়ই বলে দেবে। টাইম উইল সে। এখন যদি আমি জোর করে বলে দিলাম (আমি নির্দোষ), তাহলে তো হলো না। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমি আবারও বলছি, আমি নিজেকে নির্দোষ মনে করি। আর সেটাকে অফিশিয়ালি প্রমাণের জন্য কাজ করছি। ভালো খবর নিয়েই আপনাদের সামনে আসব ইনশাল্লাহ’।
এসময় বাফুফের নানা অসঙ্গতি নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করা হয় তাকে। যদিও এর বেশিরভাগ প্রশ্নই এড়িয়ে যান তিনি। জবাবে প্রতিবার তিনি বলেন ‘যেহেতু একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি, তাই আমি খুব বেশি কিছু বলার অবস্থায় নেই। মুখ ফসকে কি বলে ফেলি। পরে দেখব ফিফা আবার আমার কাছে জানতে চাইবে, কেন আমি কথা বলতে গেলাম। তাই বাড়তি কিছু বলতে চাই না। সময় হলে পরে খোলামেলা কথা বলব’।
আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে আবু নাঈম সোহাগকে গত মাসে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার সুইস ফ্রাঙ্ক জরিমানাও করা হয়। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা। আর তার এই জরিমানা বাফুফে বহন করবে না বলেও জানানো হয়।
মূলত ফিফার ইনডিপেন্ডেন্ট এথিক্স কমিটি সোহাগকে এ শাস্তি দেয়। ফিফা আইনের ১৩তম ধারা (জেনারেল ডিউটি), ১৫তম ধারা (ডিউটি অব লয়ালটি) এবং ২৪তম ধারা ভঙ্গ করেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। যদিও এর আগে আর্থিক অস্বচ্ছতার কারণে সোহাগকে ফিফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। আর এর পরই আসে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা।