বায়ার্নকে উড়িয়ে সেমিফাইনালের পথে ম্যানচেস্টার সিটি
শক্তি-সামর্থ্যে কেউ কারো থেকে কম নয়। তাই ম্যানচেস্টার সিটি বনাম বায়ার্ন মিউনিখের ম্যাচকে ঘিরে ছড়িয়েছিল উত্তেজনার রেণু। কিন্তু মাঠের পারফরম্যান্সে খুব একটা লড়াই জমাতে পারল না বায়ার্ন। পুরো ম্যাচে দাপট ধরে রেখে একে একে তিন গোল আদায় করে নিল ম্যানসিটি। তাতেই বায়ার্নকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে রইল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার(১১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই জয়ে নিজেদের মাঠে কিছুটা হলেও সেমির পথে এগিয়ে থাকল সিটি। এবার ফিরতে লেগে প্রতিপক্ষের মাঠে ব্যবধান ধরে রাখতে পারলেই সেমির টিকেট নিশ্চিত হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারীদের।
প্রথম লেগে দলের জয়ের ম্যাচে গোল করেছেন রদ্রি, বের্নার্দো সিলভা ও আর্লিং হলান্ড। আগামী বুধবার মাঠে গড়াবে ফিরতি লেগ। সেটি হবে বায়ার্নের ঘরের মাঠে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চলতি আসরে ৮ ম্যাচের ৭ টিতেই ক্লিনশিট রেখেছে বায়ার্ন মিউনিখ। সেই বায়ার্নকেই আজ লজ্জায় ডুবাল সিটি। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেয় সিটি। সাফল্যও এসে যায় দ্রুত।
প্রতিপক্ষ শিবিরে চাপ ধরে রেখে ম্যাচের ২৭ মিনিটের মাথায় লিড নেয় ম্যানসিটি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের বুলেট গতির দারুণ শটে ঠিকানা খুঁজে নেন রদ্রি।
পরের দুই গোল আসে বিরতির পর। ম্যাচের ৭০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় স্বাগতিকরা। অবশ্য নিজেদের রক্ষণের ভুলেই সেই মাশুল দিতে হয় বায়ার্নকে। ৭০তম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে জ্যাক গ্রিলিশের কাছে বল হারান বায়ার্ন ডিফেন্ডার দায়দ উপেমেকানো। বল নিয়ে চোখের পলকে ভেতরে ঢুকে ডান দিকে ক্রস বাড়ান হলান্ড। তখন ফাঁকায় পেয়ে হেড দিয়ে স্কোরলাইন ২-০ করেন ডি সিলভা।
পরের গোল আসে সিটির গোলমেশিন হলান্ডের পা থেকে। ম্যাচের ৭৬ তম মিনিটে স্কোরবোর্ডে নাম লেখান ছন্দে থাকা হলান্ড। সতীর্থের বাড়ানো ক্রস বক্সে পেয়ে জন স্টোনস হেডে খুঁজে নেন হলান্ডকে। বল ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে জালে পাঠান এই তরুণ ফুটবলার। সিটির জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মোট ৪৫টি গোল হলো নরওয়ের এই ফরোয়ার্ডের।
দিনের আরেক ম্যাচে বেনফিকার মাঠে ২-০ গোলে জিতেছে ইতালির দল ইন্টার মিলান। আগামী বুধবার, ইন্টারের মাঠে ফিরতি লেগে মুখোমুখি হবে দুদল।