বিসিবির সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন ডমিঙ্গো
টি-টোয়েন্টি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে রাসেল ডমিঙ্গোকে। এখন থেকে শুধুমাত্র টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলকে দেখভাল করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই দক্ষিণ আফ্রিকান কোচকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অখুশি নন ডমিঙ্গো। মনখোলা মানুষ ডমিঙ্গো বিসিবির সিদ্ধান্ত সাদরেই গ্রহণ করেছেন।
আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কোচদের নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসান পাপন। টি-টোয়েন্টির নতুন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরণ শ্রীরামের দায়িত্ব ও রাসেল ডমিঙ্গোর নতুন ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত জানান বিসিবিপ্রধান।
বিসিবিপ্রধানের সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাসেল ডমিঙ্গো। তিনি স্পষ্ট জানালেন, বিসিবির সিদ্ধান্তে নারাজ নন তিনি। বরং সাফল্য পাওয়ার আশায় নতুন পথ বেছে নেওয়াকে ইতিবাচক মনে করেন তিনি।
ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, এটা দারুণ একটা আইডিয়া। এটা আমাকে টেস্ট ম্যাচ ও ৫০ ওভারের ক্রিকেটে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেবে। টি-টোয়েন্টিতে আমাদের দারুণ কিছু ফল আছে, বাজে ফলও আছে কিছু। আমার মনে হয় না, এই সংস্করণে নতুন পন্থা খারাপ কোনো আইডিয়া। এই ব্যাপারে আমার মন খুবই খোলা। এটা আমার দল নিয়ে নয়, আমাকে নিয়ে নয়। আমি এখানে দলকে আরও ভালো অবস্থায় নেওয়ার জন্য।’
এক ফরম্যাট থেকে সরিয়ে দেওয়া বাকি দুটিতে আরও বেশি সময় দেওয়ার সুযোগ পাবেন বলে জানালেন ডমিঙ্গো, ‘এটা আমাকে আসন্ন ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ নিয়ে আরও পরিষ্কারভাবে ভাবার সুযোগ করে দেবে। আমরা জানি, টেস্ট দলকে নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে। এটা আমাকে পরিবারের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোরও সুযোগ করে দেবে। গত বছর আমি কেবল পাঁচ সপ্তাহ বাড়ি থাকতে পেরেছিলাম। পরিবার আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে টিকে থাকা খুব কঠিন, টুর্নামেন্টে সতেজ হয়ে আসা, ভালো মনোভাব নিয়ে আসা খুব কঠিন।’
চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ায়। আগামী কয়েকমাস তাই শুধু টি-টোয়েন্টিই খেলবে বাংলাদেশ দল। এ সময়টায় অবসর থাকা ডমিঙ্গো কী করবেন জানতে চাইলে বলেন, ‘আবার টেস্ট ও ওয়ানডে খেলার আগে আমাদের হাতে বেশ সময় আছে। আমার মনে হয়, এখানে কিছুটা অদল-বদল করার সুযোগ আছে। সামনের দিকে এগিয়ে যেতে এটা আমাকে কোচিং স্টাফ নিয়ে ভাবার সুযোগ করে দিচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে আমাকে অনেক কিছু নিয়েই ভাবতে হবে। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা আছে। দলটা ভালো খেলছে, আমাদের ভালো খেলোয়াড় আছে। আমি ‘এ’ দলের সঙ্গে দুবাই যাব। অনেক টেস্ট খেলোয়াড় সেখানে থাকবে। তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্তরা অনেক দিন ধরে খেলছে না। এটা তাদের জন্য দারুণ একটা সুযোগ হবে। আগামী নভেম্বরে আমি এনসিএল দেখব। এগুলো আমার পরিকল্পনায় আছে।’