মাহমুদউল্লাহর বিশ্বকাপ ইস্যুতে পাপনের কথায় নতুন সুর
ভারতে অনুষ্টিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলে জায়গা নিয়ে আলোচনা যেন থামছেই না। যতই সময় গড়াচ্ছে, ততই এই ইস্যুতে জল্পনা-কল্পনা বাড়ছে। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে বোর্ডের কর্তারাও নিশ্চিতভাবে কিছুই বলছেন না। ফের একবার মাহমুদউল্লাহর বিশ্বকাপ ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খুললেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মাহমুদউল্লাহ প্রসঙ্গে কথা বলেন পাপন।
পাপন বলেন, ‘একাদশে একজন পেসার কম খেলানো হয় সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে অপশন রয়েছে আফিফ, মাহমুদউল্লাহ, ইয়াসির ও মোসাদ্দেক। এদের মধ্যে ইয়াসির দলের সঙ্গে রয়েছে। বাকিরা যেকোনো সময় দলে ঢুকতে পারেন। আর দলে একজন বাড়তি স্পিনিং অলরাউন্ডার থাকলে ভালোই হবে।’
পাপন আরও যোগ করেন, ‘আগে আমাদের কাছে এত বিকল্প ছিল না। তবে, এখন অপশন অনেক বেশি। তাই কেউ খেলবে কেউ খেলবে না এটাই স্বাভাবিক। আমি তো ইচ্ছা করলে ১২ জনকে খেলাতে পারব না। ১১ জনকেই খেলতে হবে। তবে আপনি যদি ব্যাটিং বিবেচনা করেন তাহলে মাহমুদউল্লাহ-আফিফ দুজনই খেলতে পারে। রাব্বির খেলা আমি এখনও দেখিনি। সে অনেকদিন ইনজুরিতে ছিল, তাই তার তেমন কোনো পারফরম্যান্স আমার চোখে পড়েনি। আপনি যদি অলরাউন্ডার চিন্তা করেন, তাহলে এখানে আফিফ, মোসাদ্দেক ও মাহমুদউল্লাহ থাকবে। মূল পার্থ্যকটা হচ্ছে ফিল্ডিং। যদি বিশ্বকাপে ভালো ফিল্ডিংও চান তাহলে আমার মনে হয় আফিফ-মোসাদ্দেক মাহমুদউল্লাহ থেকে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে।’
এর আগে গত শুক্রবার (১২ মে) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপের সময় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানান, ‘সমস্যাটা আসলে অন্য জায়গায়। টিম ম্যানেজমেন্টের সমস্যাটা যে জায়গায় হচ্ছে, সেটা হলো এখানে যদি আমি একজন ওপেনার কিংবা মিডলঅর্ডারকে বাদ দিলাম। যেমন, তাওহিদ হৃদয়ের জায়গায় আরেকজনকে খেলালাম বা একদিন বিশ্রাম দিলাম, কিংবা শান্তকে বিশ্রাম দিলাম। এটা যেমনটা সহজ মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রাম দেওয়া ততোটা সহজ নয়।’
সেই সময় পাপন আরও বলেন, ‘মূলত এই জিনিসগুলো নিয়েই তারা চিন্তাভাবনা করছে। তবে, আমার মনে হয়, তারা যতো চিন্তাভাবনাই করুক না কেন, দিনশেষে তাদেরকে একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। তাই আমার মনে হয়, মাহমুদউল্লাহ থাকবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে। দেখা যাক, শেষমেশ কী সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট।’