জয় দিয়ে প্রস্তুতি শেষ পাকিস্তানের
সদ্য সমাপ্ত নিউজিল্যান্ড সফর তেমন ভালো কাটেনি। দুটো ওয়ানডের দুটোতেই বাজেভাবে হেরে গেছে পাকিস্তান। তবে বাংলাদেশের পর ইংল্যান্ডকেও প্রস্তুতি ম্যাচে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস নিয়েই বিশ্বকাপ শুরু করতে যাচ্ছেন মিসবাহ-আফ্রিদিরা। বুধবার দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে চার উইকেটে।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ২৫১ রানের টার্গেট পাওয়া পাকিস্তানের জয়ে বড় অবদান মিসবাহ-উল-হকের। ৯৯ বলে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কায় ৯১ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ থেকে ফিরেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
৭৮ রানে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর মিসবাহর সঙ্গে ১৩৩ রানের জুটি গড়া উমর আকমলের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৫ রান। ১৯৯২ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান হারিস সোহেলের। ইংল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন দুই নতুন বলের বোলার জেমস আন্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রড।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে জো রুট ও গ্যারি ব্যালান্সের ফিফটির সুবাদে আট উইকেটে ২৫০ রান করে ইংল্যান্ড। ৮৯ বলে চারটি চার ও একটি ছক্কায় ৮৫ রান করেন রুট। ৮১ বল খেলা ব্যালান্সের ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান।
ইয়াসির শাহ ৪৫ রানে তিনটি এবং সোহেল খান ৪৭ রানে দুটি উইকেট নেন।
আরেক প্রস্তুতি ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৮৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিযেছে অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের সহ-আযোজকদের জন্য সুখবর, চোটকে পেছনে ফেলে সেরে ওঠা মাইকেল ক্লার্ক দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ওপেন করতে নেমে ৬৪ রান করেছেন ক্লার্ক। ফিফটি পেয়েছেন আরেক ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ (৬১) এবং স্টিভেন স্মিথও (৫৯)। এদের সঙ্গে জর্জ বেইলির (৪৬) অবদানের যোগফল অস্ট্রেলীয়দের এনে দেয় আট উইকেটে ৩০৪ রান।
জবাবে ৩০.১ ওভারে মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়ে যায় আমিরাত। সর্বোচ্চ ৩১ রান স্বপ্নিল পাতিলের। দুটি করে উইকেট নেন জশ হেজেলউড, প্যাট কামিন্স ও জাভিয়ের ডোহার্টি।