বিশ্বকাপের বর্ণিল উদ্বোধন
বিশালাকৃতির এক রোবট সদৃশ পুতুল ব্যাটসম্যান ধীরে ধীরে এগিয়ে এলো মঞ্চের সামনে। যেন এসে দাঁড়াল উইকেটের মাঝখানে। কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সেই পুতুল ব্যাটসম্যান হুক করে একটা অদৃশ্য বল আছড়ে ফেলল বাউন্ডারির বাইরে। সঙ্গে-সঙ্গেই আতশবাজির ঝলকানিতে আলোকিত হয়ে উঠল মেলবোর্নের সিডনি মায়ার মিউজিক বৌল। বর্ণিল সেই আতশবাজির মাধ্যমে যেন ঘোষিত হলো-শুরু হতে যাচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের মহোৎসব।
তবে শুধু অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন নয়, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চেও একযোগে উদ্বোধন করা হয়েছে বিশ্বকাপের। আকর্ষণ আর আগ্রহে মেলবোর্নের অনুষ্ঠান অবশ্য অনেক এগিয়েছিল।
পুতুল ব্যাটসম্যানের হুক শট ছিল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বহুল আলোচিত ‘বিশেষ মুহূর্ত’। যা সযত্নে গোপন রেখেছিলেন আয়োজকরা। তারপর দর্শকদের মাতিয়েছেন টিনা এরেনা, জেসিকা মাবোউম, ড্যারেল ব্রেথওয়েট, নাথানিয়েলের মতো অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় পপ তারকা। সঙ্গীতপরিচালক চং লিমের পরিচালনায় মেলবোর্ন সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার সুর-মূর্চ্ছনাও মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ মুহূর্তের আগে মঞ্চস্থ হয়েছে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ১৪টি দেশের ভিন্ন ভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। জনপ্রিয় সুরকার ও গায়ক হাবিব ওয়াহিদের সঙ্গীতের তালে বাংলাদেশ দলের সবুজ জার্সি পরে নৃত্য পরিবেশন করেন একদল শিল্পী।
১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ নতুন মাত্রা দিয়েছিল ক্রিকেটকে। সেই আসরেই বিশ্বকাপ পেয়েছিল বর্ণিল রূপ। রঙিন জার্সি, সাদা বল, ফ্লাডলাইট-সবকিছুই নতুন যুগে নিয়ে যায় বিশ্বকাপ ক্রিকেটকে। ২৩ বছর পর অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দ্বিতীয় বিশ্বকাপও যে বিশেষ কিছু হতে যাচ্ছে তার ইঙ্গিত পাওয়া গেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে।
এবার ব্যাট-বলের লড়াই শুরুর অপেক্ষা!