দল নির্বাচন নিয়ে ক্ষুব্ধ মিয়াঁদাদ
বিশ্বকাপে আরো একবার ভারতের বিপক্ষে পরাস্ত পাকিস্তান। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে এটা তাদের টানা ষষ্ঠ হার। ভারতের কাছে পরাজয়ের লজ্জাজনক ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’ নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ জাভেদ মিয়াঁদাদ। পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের দৃঢ় বিশ্বাস, প্রথম একাদশ সাজাতে গণ্ডগোল করে ভরাডুবি হয়েছে মিসবাহর দলের।
বিশ্বকাপের মতো আসরে ভারতের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে সেরা একাদশ নিয়ে ‘পরীক্ষা-নিরীক্ষা’ কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মিয়াঁদাদ। আইসিসির ওয়েবসাইটে তিনি লিখেছেন, ‘এমন একটা বড় ম্যাচে একটা দল তাদের সেরা ১১ জন খেলোয়াড়কেই বেছে নেয়। কোনোরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে পাকিস্তান এই সহজ সূত্রটা মনে রাখেনি। এটা চমকে ওঠার মতো দল নির্বাচন ছাড়া আর কিছুই নয়, যা বিশ্বজুড়ে পাকিস্তানের কোটি-কোটি ভক্তকে প্রচণ্ড ধাক্কা দিয়েছে।’
পাকিস্তানের এই দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হলেও রোববারের আগে ওয়ানডেতে মাত্র দুবার ওপেনার হিসাবে দেখা গেছে ইউনিস খানকে। ওই দুই ম্যাচে তাঁর রান ছিল শূন্য ও চার। অথচ তারপরও রোববার অ্যাডিলেড ওভালে আহমেদ শেহজাদের সঙ্গে ইনিংস শুরু করার দায়িত্ব দেওয়া হয় ইউনিসকে।
ইউনিসকে ওপেনার হিসেবে খেলানোর সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মিয়াঁদাদ। তেমনি বিশেষজ্ঞ উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদকে একাদশে না রাখার সিদ্ধান্তেও ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক, ‘ইউনিস খানকে ওপেনার হিসেবে খেলানোর পেছনে কোন্ রকেট বিজ্ঞান কাজ করল? আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে পারদর্শী বিশেষজ্ঞ উইকেটরক্ষক সরফরাজ আহমেদকে না খেলানোর যুক্তিই বা কী? মনে হচ্ছে বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা শুরুর আগেই পাকিস্তান আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।’
পাকিস্তানের আরেক সাবেক তারকা ইনজামাম-উল-হক অবশ্য আরেকটি ভারত-লজ্জার জন্য দায়ী করছেন টস হারকে। বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ছয়টি ম্যাচের পাঁচটিতেই টস জিততে পারেনি পাকিস্তান। এর মধ্যে পাঁচবারই আগে ব্যাট করে জয় পেয়েছে ভারত। ২০০৩ সালে শুধু একবারই শচীন টেন্ডুলকারের ৭৫ বলে ৯৮ রানের এক অসাধারণ ইনিংসের কল্যাণে পরে ব্যাট করে তারা জিতেছিল।
টস জয়ের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে আইসিসির ওয়েবসাইটে ইনজামাম লিখেছেন, ‘আগে ব্যাটিং করার অনেক সুবিধা। কারণ বড় ম্যাচে রান তাড়া করতে গিয়ে ব্যাটসম্যানরা অনেক সময় চাপে পড়ে যায়। ভারতের বিপক্ষে রান তাড়া করতে গিয়ে আমাদের কী সমস্যা হয় তা বর্ণনা করার মতো যুতসই শব্দ খুঁজে পাচ্ছি না। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের মানসিক প্রতিবন্ধকতারই প্রতিফলন।’