স্কয়ার ড্রাইভ
সাকিব-মুশফিকের অসাধারণ ব্যাটিং
তামিম-এনামুল যেভাবে শুরু করেছিল তাতে ভেবেছিলাম উদ্বোধনী জুটিতে দল একটা ভালো ভিত পেয়ে যাবে। কিন্তু ৪৭ রানের জুটি গড়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুজনের ফিরে যাওয়া দলের ব্যাটিংয়ের ওপর বেশ প্রভাব ফেলেছে। চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ খুব বেশি সফলতা না পেলেও দলকে ৫০ রানের সময়োপযোগী জুটি এনে দিয়েছেন। পরে সাকিব-মুশফিক জুটি দলকে ভালো ভিতের দিকে নিয়ে গেছে।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাকিব-মুশফিক দৃঢ়তা না দেখালে দল হয়তো বিপর্যয়ে পড়ে যেত। দুজনই দারুণ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। এককথায় অসাধারণ ব্যাটিং। তাদের কাছ থেকে এমনটাই আশা করেছিলাম।
দলের বিপর্যয়ে এই দুজনের বুক চিতিয়ে দাঁড়ানোর বহু নজির আছে। এবারের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে দলের বিপদের সময় দুজনের ইনিংস দুটো সত্যি আমাকে মুগ্ধ করেছে।
২৬৭ রান তেমন খারাপ সংগ্রহ নয়। অবশ্য আরেকটু বড় হলে আরো ভালো হতো। এখন কাজটা বোলারদের। তারা যদি লাইন-লেংথ ঠিক রেখে বল করে তাহলেই জয় পাওয়া সম্ভব।
আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে বাংলাদেশের ইনিংস খুব বেশি বড় হয়নি। মিরওয়াইস আশরাফ, শাপুর জাদরান ও হামিদ হাসান ভালো বল করেছে। যখন বাংলাদেশের ইনিংস বড় হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই সাকিবের উইকেট তুলে নিয়ে হামিদ ধাক্কা দিয়েছে।
তারপরও একটা ফাইটিং স্কোর করা সম্ভব হয়েছে। সেটাই বড় কথা। এখন বোলারদের ফাইট করতে হবে। আফগানরা যেন প্রথম পাওয়ার প্লেতে খুব বেশি রান না তুলতে পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। চাপে ফেলে সে সময় দুই-একটা উইকেট তুলে নিলেই জয়টা সহজ হয়ে যাবে।
তবে বোলিং নিয়ে খুব বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা চলবে না। আমি যত দূর জানি আফগানিস্তানের প্রথম চার ব্যাটম্যান খুবই ভালো।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।