অনেক কথা বলার আছে, কবে বলবেন মাহমুদউল্লাহ?
চলতি বছর মার্চের ঘটনা। বিশ্রামের নামে বাদ দেওয়া হয়েছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে। মাসের পর মাস কাটলেও বিশ্রাম থেকে ফেরানো হচ্ছিল না তাকে। তখন অনেকেই হয়ত ধারণা করেছিলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে। সময়ের ক্রমে পাল্টে যায় সেই চিত্র। মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদের ওপর ভরসা রেখেছিলেন নির্বাচকরা, ঘুরেফিরে তারা সেই মাহমুদউল্লাহর দারস্থ হয়। বিশ্রাম থেকে ফেরানো হয় বিশ্বকাপে। ফের মাঠে ফিরে মাহমুদউল্লাহও বার্তা দিলেন এখনও ফুরিয়ে যাননি তিনি। বরং, বাংলাদেশ দলের যে টুকু রান আসছে তার বেশিরভাগই আসছে তার ব্যাট থেকে।
নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে হেসেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট। এরপর হেসেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। প্রোটিয়া বোলারদের সামনে সবাই যখন মুখ থুবড়ে পড়েছেন তখন মাহমুদউল্লাহই লজ্জা থেকে রেহাই দিয়েছেন। সেঞ্চুরি করে লজ্জার হারের রেকর্ড থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
গতকাল মুম্বাইয়ের মাঠে লেজের ব্যাটারদের নিয়ে প্রায় শেষ পর্যন্ত লড়েছেন মাহমুদউল্লাহ। উপহার দিয়েছেন ১১১ রানের দারুণ ইনিংস। দল না জিতলেও বিব্রতকর হার থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে হারের পাশাপাশি তাই মাহমুদউল্লাহর খারাপ সময়ের প্রসঙ্গই আসে বারবার। দল থেকে বাদ পড়া, আবার ফিরে আসার লড়াই। সব মিলিয়ে লম্বা একটা জার্নির মধ্যে দিয়ে গেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সেই খারাপ সময়ের কথা জানতে চাইলে একটু অপেক্ষায় ফেলে দেন মাহমুদউল্লাহ। জানান, অনেক কথা বলার আছে তার। কিন্তু কবে বলবেন মাহমুদইল্লাহ?
সাবেক এই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের জবাবটা ছিল এমন, 'আমি এখন ওই সব বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না, যদিও আমার অনেক কিছু নিয়ে কথা বলার আছে। সম্ভবত এখন সঠিক সময় নয় সেসব নিয়ে কথা বলার। শুধু বলতে পারি, দলের জন্য খেলতে চেয়েছি, দলের জন্য অবদান রাখতে চেয়েছি। দলের জয়ে যতটুকু পারি, যদি দলকে জেতাতে পারি, তাহলে আরও ভালো লাগবে।'
পরবর্তীতে জানাবেন বলে তিনি বলেছেন, 'সম্ভবত আল্লাহ আমাকে সেই শক্তি দিয়েছেন যে চালিয়ে যেতে হবে। চেষ্টা করেছি ফিটনেস ঠিক রাখতে, কষ্ট করতে। এর বাইরে আমার করার কিছু নেই। আমি পরবর্তীতে আরও কিছু জানাব।'
মাহমুদউল্লাহ যেন কাল অনেক কথা বলতেও থেমে গেলেন। কারণ, হয়ত বিশ্বকাপের মঞ্চে কোনো বিতর্ক আনতে দেবেন না বলে। তবে কথা দিয়ে রাখলেন, পরে খুলে বলবেন মনের সব ব্যথা!