সন্ধ্যায় মন্ত্রী হিসেবে পাপনের শপথ, কে হচ্ছেন বিসিবি সভাপতি?
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজমুল হাসান পাপন। টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এবার মন্ত্রীসভায় পূর্ণ মন্ত্রীর পদ পেতে যাচ্ছেন পাপন। পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার ঘোষণার পর থেকে আলোচনায়—বিসিবি সভাপতি পদে থাকছেন তো পাপন?
বর্তমানে ক্রিকেটে জনসম্পৃক্ততা এবং আন্তর্জাতিক ব্যাপ্তি অনেক বেশি। তাই মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ক্রিকেট বোর্ডও সামলানোটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে পাপনের জন্য। দুটি বড় দায়িত্ব সামলানো কঠিন বিধায় তিনি বিসিবি সভাপতি থেকে পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা ক্রীড়া বিশ্লেষকদের। সেক্ষেত্রে কে হবে নতুন বিসিবি সভাপতি?
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি পদে মেয়াদ আছে পাপনের। ক্রিকেট বোর্ডের পরবর্তী নির্বাচনে এখনও বাকি প্রায় বছর দেড়েক। এই সময়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন কে? তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা। এই তালিকায় বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও সাকিব আল হাসানের নাম। দুজনই জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। কিন্তু এই মুহূর্তে তাদের বিসিবির সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
কারণ, বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেউ সভাপতি প্রার্থী হতে চাইলে প্রথমেই তাকে জেলাভিত্তিক ক্লাব কিংবা আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থাগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে হয়। এরপর হতে হয় বিসিবির কাউন্সিলর। পরবর্তীতে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হতে হয় বোর্ড পরিচালক। এরপর ভোটাভুটিতে নির্বাচিত করা হয় বোর্ড সভাপতি। তবে সাকিব-মাশরাফী দুজনের কেউই পরিচালকের পদে নেই। নেই কাউন্সিলর পদেও। ফলে আসন্ন সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থীও হতে পারছেন না তারা।
এই মুহূর্তে পাপন দায়িত্ব ছাড়লে মাশরাফী ও সাকিবের সুযোগ না থাকায় বিসিবির বর্তমান পরিচালকদের মধ্য থেকে একজন সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেন। সেই তালিকায় বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে আজম নাসিরের নাম। যিনি বর্তমানে বিসিবির সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
তবে, সবকিছুই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর। নাজমুল হাসানকেই বাকি দেড় বছরের জন্য দায়িত্বে বহাল রাখলেও অবাক করার কিছু থাকবে না। বিসিবি বসের চেয়ারে নতুন করে কে বসবেন নাকি নাজমুল হাসানই থাকেন সেটাই দেখার জন্য মুখিয়ে ক্রিকেট ভক্তরা।