বৈচিত্র্য নেই ফেসবুককর্মীদের মধ্যে
ফেসবুকের বিভিন্ন ফিচারে প্রায়ই আসে পরিবর্তন। তবে এই পরিবর্তনের পেছনে যাঁরা কাজ করে চলছেন, বহুদিন ধরেই তাঁদের মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি। বলা হচ্ছে, ফেসবুক প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের কথা। ফেসবুক ইংক নিজের থেকেই এ নিয়ে একটি উপাত্ত প্রকাশ করেছে। এখানে দেখা গেছে, গত এক বছরে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত নারী এবং ভিন্ন বর্ণের কর্মীর সংখ্যা তেমন কিছুই বাড়েনি।
নারীকর্মীর সংখ্যা বেড়েছে মাত্র ১ শতাংশ। আগের বছরের ৩১ থেকে এবার ৩২ শতাংশ। অন্যদিকে কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিক এবং দুই বা ততোধিক বর্ণের মানুষের পরিমাণ আছে ঠিক আগের মতোই। যথাক্রমে ২, ৪ ও ৩ শতাংশ।
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগ প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ অনেক আগে থেকেই উল্লেখযোগ্য হারে কম। দেখা গেছে, ৮৪ শতাংশ পুরুষের সঙ্গে কর্মরত রয়েছেন মোটে ১৬ শতাংশ নারী। অন্যদিকে নন-টেক কর্মীদের মধ্যে আবার নারীরাই এগিয়ে রয়েছেন। সেখানে নারীদের অধিকারে ৫২ শতাংশ, পুরুষরা ৪৮ শতাংশ।
ফেসবুকের জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বেও দেখা যায় শ্বেতাঙ্গ পুরুষদের আধিক্য। ২৩ শতাংশ নারীর বিপরীতে নেতৃত্বে রয়েছেন ৭৭ শতাংশ পুরুষ। গত বছর থেকে এই চিত্র একেবারেই বদলায়নি এ বছরেও।
এবার অবশ্য নেতৃত্বের জ্যেষ্ঠতায় এগিয়েছে এশিয়ানরা। গেল বছর ১৯ শতাংশ থেকে এবার ২১ শতাংশ এশিয়ান জায়গা করে নিয়েছে নেতৃত্বে। সে সঙ্গে কমেছে হিস্পানিকদের সংখ্যা। গত বছর ছিল ৪ শতাংশ, এই বছর ৩ শতাংশ।
একটি ব্লগ পোস্টে ফেসবুক তাদের কর্মীদের মধ্যে বৈচিত্র্য বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ তালিকাবদ্ধ করেছিল। ফেসবুক এ ব্যাপারে কয়েক দফা চেষ্টা চালালেও কার্যকরভাবে এখন পর্যন্ত বিশেষ পরিবর্তন আসছে না।